ঢাকা শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫

বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত ৮টি গ্রাম খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকট

দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২৫, ০১:১৬ এএম

খুলনার দাকোপে ভেঙে যাওয়া বাঁধ দুই দিনের মাথায় আটকানো সম্ভব হয়েছে। এ দুই দিনে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় ৮টি গ্রাম। প্লাবিত হওয়া এসব গ্রামে খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা জানান, গত ৭ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকী নদীর পানির তোড়ে ভেঙে যায় দাকোপের তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বটবুনিয়া এলাকার ১৫০ ফুট বেড়িবাঁধ। এরপর ৮ অক্টোবর রাতে বাঁধটি আটকানো হয়। কিন্তু ওই রাতের জোয়ারে আবারও বাঁধ ভেঙে যায়। এ ঘটনায় তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর কামিনীবাসিয়া, বটবুনিয়া, নিশানখালী, আড়াখালী, দক্ষিণ কামিনীবাসিয়া, ভাদলা বুনিয়া, মশামারী, গড়খালী ও কাঁকড়া বুনিয়া এলাকা কমবেশি প্লাবিত হয়। টানা জোয়ার-ভাটায় উত্তর কামিনীবাসিয়া, বটবুনিয়া, নিশানখালী, আড়াখালী গ্রামের বাসিন্দারা অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েন। এদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন খুলনার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান।

এ সময় তিনি পানিবন্দি মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের দুর্ভোগের কথা শোনেন। এ সময় তিনি তাদের মাঝে শুকনো খাবার চিড়া-গুড়সহ চাল, ডাল, তেল, লবণ, হলুদ ও মসলার ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। তিনি দুর্গতদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘খুব দ্রুত বাঁধ আটকানোর জন্য সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া এ ঘটনায় আপনারা যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের তালিকা তৈরি করার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে আপনাদের সহায়তা করা হবে।’

খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ উপ-পরিচালক নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাঁধ আটকানোর ফলে ধান ঝুঁকিমুক্ত হলো। কিন্তু ১৫ বিঘা জমির ধান ক্ষতি হলো। ১০০ মিটার এলাকায় খাল সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় ক্ষতির শিকার কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তাদের আঙিনায় সবজি চাষের বীজ দেওয়া হবে।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন,  স্রোতের তীব্রতা এবং মাটির স্বল্পতার কারণে বাঁধ আটকাতে বেগ পেতে হয়। তারপরও গত রাতে বাঁধটি আটকানো সম্ভব হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন দুর্গত ১৬০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার এবং ১২০ পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেল, লবণ, হলুদ ও মসলার ত্রাণের প্যাকেজ বিতরণ করেছে।’