সব ধরনের ক্রিকেট লিগ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ঢাকার ৩৮টি ক্লাব। তবে পাল্টা জবাব দিয়েছে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)। লিগ আয়োজনের নিশ্চিয়তা দিয়েছেন সিসিডিএমের চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপন। বিসিবির এই পরিচালক বলেছেন, প্রয়োজনে ভিন্ন পথে হলেও লিগ হবেই। বিসিবি নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে ঢাকা ক্লাব ক্রিকেট অর্গানাইজার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিসিসিওএ) গত বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, এখন থেকেই কোনো ধরনের ক্রিকেট কার্যক্রমে অংশ নেবে না ক্লাবগুলো। দ্বিতীয় দফায় বোর্ড-প্রধানের দায়িত্ব পাওয়া আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে ‘অবৈধ সভাপতি’ বলেও ঘোষণা দেয় তারা। এরই মধ্যে বিসিবি ২৩টি স্ট্যান্ডিং কমিটির দায়িত্ব বণ্টন করেছে। বিভিন্ন কমিটির চেয়ারম্যানরা দায়িত্ব বুঝে নিতে শুরু করেছেন। সিসিডিএমের সামনে চ্যালেঞ্জটাই এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। লিগে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা মানে দিন শেষে জিম্মি ক্রিকেটাররা। দেশের ক্রিকেটারদের বড় অংশই তাদের রুজির জন্য নির্ভর করে ঢাকার বিভিন্ন লিগের ওপর।
গত ১ অক্টোবর থেকে তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্বাচনের কারণে সেটা স্থগিত হয়ে যায়। নির্বাচন শেষ হলেই লিগ আয়োজনের কথা বলেছিলেন আগের কমিটির চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন চৌধুরী। কিন্তু কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা আসেনি বিসিবি সভাপতির দিক থেকে। সিসিডিএম সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত লিগে অংশ নিতে যাওয়া ২০ দলের কাছেও আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি যায়নি। আগের সভাপতির পক্ষ থেকে শুধু মৌখিকভাবে জানানো হয়েছিল, নির্বাচনের পর লিগ আয়োজনের কাজ শুরু হবে। সেই কাজ এখনো শুরু হয়নি। তবে নতুন সিসিডিএম চেয়ারম্যান দীপন জানান, ক্রিকেটারদের শঙ্কার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেছেন, ‘লিগ আয়োজন হবেই, এটা গ্যারান্টি দিচ্ছি। খেলা হবেই, এটা নিশ্চিত। আমি মাঠের মানুষ, ক্লাব সংগঠক। সংগঠকেরা সবাই আমার সহকর্মী। কিছু দায়িত্ব আমাকে নিতেই হবে। আমি খুব আশাবাদীÑ কিছু একটা হবেই। এমনও হতে পারে, ভিন্ন পথে হবে এবারের লিগ। অনেক কিছুই হতে পারে।’ তৃতীয় বিভাগ লিগই সবচেয়ে আগে শুরু করার কথা। চলতি বছরের এপ্রিলে তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগের বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ হওয়া দুটি দল মূল লিগে খেলার সুযোগ পেয়েছে। চ্যাম্পিয়ন দল ইয়ং টেরিপাস ক্লাব বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন। এই গ্রুপ-সংশ্লিষ্ট তিনজন পরিচালক আছেন নতুন বোর্ডে। তৃতীয় বিভাগ লিগে এবারের ২০টি ক্লাবের অর্ধেকের বেশিই বর্তমান বোর্ডের পরিচালকদের সমর্থনপুষ্ট বলে জানা গেছে।