ঢাকা শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫

বিশ্বকাপে আলজেরিয়া অস্ট্রিয়ার ইতিহাস

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২৫, ০১:৫৪ এএম

ফিফা ২০২৬ বিশ^কাপে খেলা নিশ্চিত করেছে আলজেরিয়া। রিয়াদ মাহরেজের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আলজেরিয়া ৩-০ গোলে হারায় সোমালিয়াকে। এই জয়ে আফ্রিকার চতুর্থ দল হিসেবে বিশ^কাপের মূল পর্বে খেলার টিকিট নিশ্চিত করল আলজেরিয়া। অপর ম্যাচে ইতিহাস গড়েছে অস্ট্রিয়া। বিশ^কাপ বাছাইপর্বে সান মারিনোর বিপক্ষে ১০-০ গোলে জিতেছে অস্ট্রিয়া।

সাবেক ম্যানচেস্টার সিটি ও লেস্টার সিটি তারকা মাহরেজ দারুণ পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন। ম্যাচের শুরুতেই তার নিখুঁত ক্রস থেকে মোহাম্মদ আমুরা আলজেরিয়াকে এগিয়ে নেন। ১৯ মিনিটে মাহরেজ নিজেই দুর্দান্ত এক হাফ-ভলিতে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। দ্বিতীয়ার্ধে আবারও মাহরেজের জাদু। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দারুণ এক পাসে আমুরাকে দিয়ে তৃতীয় গোলটি করান এই তারকা অধিনায়ক। এরপর দুজনকেই বিশ্রাম দেওয়া হয়। ইউসেফ বেলাইলির শট পোস্টে লেগে ফিরলেও আলজেরিয়ার বড় জয় আটকাতে পারেনি সোমালিয়া। ওরানের দর্শকে ভরা স্টেডিয়ামে শেষ বাঁশি বাজার পর উল্লাসে ফেটে পড়ে সমর্থকেরা। এই জয়ে গ্রুপ ‘জি’র শীর্ষস্থান নিশ্চিত করে আলজেরিয়া, এক ম্যাচ হাতে রেখেই। ২০১৪ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে ফিরছে তারা। যদিও ম্যাচটি সোমালিয়ার হোম ম্যাচ হিসেবে নির্ধারিত ছিল। তবে নিরাপদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম না থাকায় খেলা অনুষ্ঠিত হয় আলজেরিয়ার উপকূলীয় শহর ওরানে। এদিকে কিংবদন্তি জিনেদিন জিদানের ছেলে লুকা জিদান প্রথমবার আলজেরিয়ার দলে ডাক পেলেও বেঞ্চেই ছিলেন। ২৭ বছর বয়সি এই গোলরক্ষক সম্প্রতি ফ্রান্সের বদলে আলজেরিয়ার হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এদিকে, ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে গোল উৎসব শুরু হয় রোমানো শ্মিডের পা থেকে। এরপর ধারাবাহিকভাবে জালের দেখা পান মার্কো আর্নাউটোভিচ, মিশায়েল গ্রেগোরিচ, স্টেফান পস ও কনরাড লাইমার। প্রথমার্ধেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিজেদের করে নেয় অস্ট্রিয়া। ডিফেন্ডার কেভিন ডানসোও আক্রমণে উঠে এসে পসের গোলে অ্যাসিস্ট করে দলীয় সাফল্যে ভূমিকা রাখেন। দ্বিতীয়ার্ধে আসে ম্যাচের সবচেয়ে বড় মুহূর্তগুলো। আর্নাউটোভিচ আরও ৩টি গোল করে মোট ৪ গোলের মালিক হন।

এই পারফরম্যান্সের সুবাদে তিনি ইতিহাস গড়েন, অস্ট্রিয়ার সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন তিনিই। তার গোলসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫, যা ১৯৯৬ সাল থেকে টনি পলস্টারের দখলে থাকা ৪৪ গোলের রেকর্ডকে পেছনে ফেলেছে। ম্যাচে বল দখলে অস্ট্রিয়ার আধিপত্য ছিল স্পষ্ট। ৭১ শতাংশ সময় বল ছিল তাদের পায়ে। তারা ২৫টি শট নেয়, যার অর্ধেকেরও বেশি লক্ষ্যভেদী। বিপরীতে সান মারিনোকে বেশির ভাগ সময় নিজেদের অর্ধেই ঠেকিয়ে রাখে অস্ট্রিয়ার মিডফিল্ড ও ডিফেন্স। এই জয়ে গ্রুপ ‘এইচ’-এর শীর্ষে অবস্থান আরও মজবুত করে অস্ট্রিয়া, পাঁচ ম্যাচে শতভাগ জয়, অর্থাৎ পূর্ণ ১৫ পয়েন্ট।