জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে ‘সামাজিক গবেষণায় নীতি ও সততা এবং মিশ্র পদ্ধতির মাধ্যমে সামাজিক গবেষণা পরিচালনা’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১০টায় পুরনো প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে কর্মশালাটি শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধনের কথা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি কাজে ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করায় বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী কর্মশালার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষরেদ ডিন প্রফেসর ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যান্ডরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর পরিচালক ও পাবলিক হেলথ (জনস্বাস্থ্য) বিভাগের প্রফেসর ড. এম. রেজাউল ইসলাম।
কর্মশালার উদ্বোধনী পর্ব সঞ্চালনা করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রাকিবুল ইসলাম। কর্মশালায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দসহ অন্যান্য অনুষদেরও আগ্রহী শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী বলেন, ‘এই কর্মশালার রিসোর্স পার্সন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অত্যন্ত অভিজ্ঞ। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্বের নামি দামি জার্নালে তার ৭০টির মতো প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষকগণকে অনুরোধ করছি আপনারা এই কর্মশালায় আন্তঃসম্পর্কের মধ্য দিয়ে কর্মশালাটি অংশগ্রহণমূলক করে ফলপ্রসূ করবেন। আপনাদের জন্য এই কর্মশালাটি একটি সোনালী সুযোগ আমি আশা করি আপনারা এই কর্মশালার মাধ্যমে গভীরভাবে জ্ঞানার্জন করতে পারবেন এবং অর্জিত জ্ঞানকে গবেষণা প্রবন্ধে প্রয়োগ করতে সচেষ্ট থাকবেন।’
কর্মশালার সার্বিক সফলতা কামনা করে বিশেষ অতিথি তার বক্তব্য শেষ করেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের প্রভাষক মো. আবু সায়েম বলেন, ‘গবেষণায় নীতি ও সততা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের এই কর্মশালার মাধ্যমে সামাজিক গবেষণার তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক দিক সম্পর্কে অনেক নতুন ধারণা পেয়েছি। বিশেষ করে মিশ্র পদ্ধতির ব্যবহার নিয়ে রিসোর্স পার্সনের বিশদ ব্যাখ্যা আমাদের ভবিষ্যৎ গবেষণা কার্যক্রমকে আরও সমৃদ্ধ করবে বলে মনে করি। এমন আয়োজন আমাদের গবেষণার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতে এসপিএসএস, স্ট্যাটা, এনভিবো সহ বিভিন্ন রিসার্চ টুলস নিয়ে কর্মশালা আয়োজিত হলে সবার জন্য ভালো হবে। এমন যুগোপযোগী কর্মশালার উদ্যোগ গ্রহণ করায় আমি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন স্যারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘ডিন হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর গবেষণা ও পঠন পাঠন পদ্ধতিতে শিক্ষকদের আরও দক্ষ করে তুলতে কিছু কর্মশালা আয়োজনের কথা বলেছিলাম। তারই অংশ হিসেবে এই কর্মশালা। এই কর্মশালায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। সামনে এই ধরনের কর্মশালা আরও করবো। আমি চাই আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মানসম্মত গবেষণা করুক। বেশি বেশি গবেষণা করুক। যেসকল শিক্ষক বেশি বেশি গবেষণা করবেন তাদের জন্য ডিনস অ্যাওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শিক্ষকদেরকে ১০ হাজার করে প্রাইসমানিও দেওয়া হবে। একাডেমিক কাউন্সিলে অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করতে পারবো। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় অনুপ্রাণিত করতে ডিনস লিস্টও করা হবে। যেসকল শিক্ষার্থী ৩.৮০ সিজিপিএ পাবে তাদেরকে এই লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করে সার্টিফিকেট ও পদক দেওয়া হবে।’