ঢাকা শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫

৪৯তম বিসিএস পরীক্ষা আজ, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২৫, ০৮:৪১ এএম
বিসিএস পরীক্ষা। ছবি - সংগৃহীত

৪৯তম বিসিএস (বিশেষ) এমসিকিউ টাইপ লিখিত পরীক্ষা আজ শুক্রবার (১০ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে এরই মধ্যে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) ওয়েবসাইটে পরীক্ষার আসনবিন্যাস, সময়সূচি এবং পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে।

৪৯তম বিসিএস (বিশেষ) হচ্ছে শিক্ষা ক্যাডারের জন্য নির্ধারিত একটি বিশেষ বিসিএস। এ বিসিএসের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে মোট ৬৮৩টি শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। এই পদগুলোর বিপরীতে আবেদন করেছেন প্রায় ৩ লাখ ১২ হাজারেরও বেশি প্রার্থী, অর্থাৎ প্রতি একটি পদের জন্য প্রতিযোগিতা করছেন গড়ে ৪৫৬ জন প্রার্থী।

পরীক্ষাটি সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকার ১৮৪টি কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে পরীক্ষাকক্ষে প্রবেশ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পর কোনো পরীক্ষার্থীকে হলের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। প্রশ্নপত্র বিতরণের পর থেকে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত (দুপুর ১২টা পর্যন্ত) কেউ পরীক্ষার কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না।

পরীক্ষায় থাকবে ২০০টি এমসিকিউ প্রশ্ন, প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর প্রদান করা হবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.৫০ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ সময় দুই ঘণ্টা। উত্তরপত্রে থাকবে চারটি সেট- সেট #১, ২, ৩ ও ৪।

কমিশন জানিয়েছে, পরীক্ষার হলে বইপুস্তক, সব ধরনের ঘড়ি, মুঠোফোন, ক্যালকুলেটর, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ড সদৃশ যেকোনো যন্ত্র, গয়না ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এছাড়া পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীদের কানে কোনো আবরণ রাখা যাবে না। যদি কোনো পরীক্ষার্থীর হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে তাকে চিকিৎসকের পরামর্শপত্রসহ কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে।

বিশেষ প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনায় নিয়ে প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য শ্রুতলেখকের ব্যবস্থা করেছে কমিশন। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রতি ঘণ্টার পরীক্ষায় অতিরিক্ত ১০ মিনিট এবং অন্যান্য প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রতি ঘণ্টায় অতিরিক্ত ৫ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। তবে এই সুবিধা কেবলমাত্র কমিশনের মনোনীত শ্রুতলেখকের মাধ্যমেই প্রদান করা হবে।

পরীক্ষার হলে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পরীক্ষাকেন্দ্র পরিবর্তনের কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না। পরীক্ষার দিন যেন কোনো জটিলতা না হয়, সেজন্য পরীক্ষার্থীদের আগেই পরীক্ষাকেন্দ্র ও আসনবিন্যাস জেনে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।

বিস্তারিত তথ্য ও নির্দেশনা জানতে পরীক্ষার্থীদের বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইট (www.bpsc.gov.bd) ভিজিট করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।