যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলে প্রায় ২০০ সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যৌথ টাস্কফোর্সের অংশ হিসেবে এসব সেনা গাজার জন্য মানবিক সহায়তা কার্যক্রম সহজতর করা এবং নতুনভাবে সুনির্দিষ্ট যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ করার কাজ করবে। তবে আলাদা করে কোনো মার্কিন সেনা গাজার ভেতরে মোতায়েন করা হবে না।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়াকে এক মার্কিন কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ২০০ সেনা টাস্কফোর্সের মূল অংশ হবে। সেখানে মিসরের সশস্ত্র বাহিনী, কাতার, তুরস্ক ও সম্ভবত সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিরাও থাকবেন।
মিসরের পর্যটন শহর শারম আল শেখে চলমান আলোচনার তৃতীয় দিনে গত বুধবার যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় হামাস ও ইসরায়েল। এতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিসর ও তুরস্ক। চুক্তি অনুযায়ী গাজায় সংঘাত বন্ধের পাশাপাশি বন্দিবিনিময় করবে দুই পক্ষ।
দুই পক্ষের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার এ খবরে আনন্দ-উল্লাস করছেন গাজার বাসিন্দারা। যুদ্ধবিরতির সঙ্গে সঙ্গে হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের মুক্তি পাওয়ার সুযোগ আসবে বলে উদ্যাপন করা হয়েছে ইসরায়েলেও।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় টানা নৃশংসতা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এ সময়ের মধ্যে দুই ধাপে মাত্র দুই মাসের কিছুটা বেশি সময় সেখানে যুদ্ধবিরতি ছিল। বাকি সময়ে হামলা চালিয়ে ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। আহত হন প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ।
