ঢাকা সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নির্বাচনের এক দিন আগেই সাইবার হামলার শিকার ছাত্রদল-শিবিরের প্রার্থীরা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ০১:৩৭ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ গ্রাফিক্স

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের মাত্র এক দিন বাকি, ঠিক এই মুহূর্তে ছাত্রদল-শিবির সমর্থিত কয়েকজন প্রার্থী সাইবার হামলার শিকার হয়েছেন। হঠাৎ ফেসবুক আইডি অদৃশ্য হয়ে যাওয়া এবং বারবার ডিজেবল হওয়ার অভিযোগ উঠায় নির্বাচনি পরিবেশে নতুন উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। 

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) উভয়পক্ষই তাদের প্রার্থীদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিজেবল হওয়ার অভিযোগ করেন।

এদিন দুপুরে শিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম এবং গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদপ্রার্থী সাজ্জাদ হোসাইন খানের ফেসবুক আইডি  হঠাৎ অদৃশ্য (ডিজেবল) হয়ে যায়। 

এই বিষয়ে ওই প্যানেলের  জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ এক ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের প্যানেলের প্রার্থীদের আইডিগুলোতে ক্রমাগত সাইবার এটাক করা হচ্ছে। কয়েকজন প্রার্থীর আইডি ইতিমধ্যেই সাসপেন্ডেড। কিছু আইডি পরপরই লগআউট হয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ সহায়।’ 

এদিকে, ছাত্রদল সমর্থিত সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান এবং জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিমও সাইবার হামলার শিকার হয়েছেন। কিছু সময়ের জন্য তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিজেবল থাকার অভিযোগ করেছেন। 

এ বিষয়ে আবিদুল ইসলাম খান নিজের ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘কিছু সময়ের জন্য আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ডিজেবল করে দেওয়া হয়েছিল। চারদিকে ষড়যন্ত্রের জাল বিরাজমান। প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রিয় বাংলাদেশ, সজাগ থাকুন।’

তানভীর বারী হামিম তার পোস্টে বলেন, ‘বারংবার সাইবার এটাকের মাধ্যমে আইডি ডিসেবল করা হচ্ছে। প্রিয় ঢাবি শিক্ষার্থীবৃন্দ, আপনাদের কাছে বিচার দিলাম। আপনারাই আমার শেষ আশ্রয়। ইনশাল্লাহ, দেখা হবে বিজয়ে।’

নির্বাচনের আগের এই সাইবার হামলার ঘটনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ছাত্রদল-শিবিরের প্রার্থীরা দাবি করেছেন, এই ধরনের সাইবার আক্রমণ তাদের প্রচারণা কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করছে। ভোটারদের সঙ্গে সংযোগকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।

প্রসঙ্গত, এবারের ডাকসু নির্বাচনে ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, যার মধ্যে নারী ৬২ ও পুরুষ ৪০৯ জন। ভোটার সংখ্যা ৩৯,৭৭৫।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, বামজোট, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের মতো রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনটিতে নিজেদের প্যানেল দিয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যাও কয়েক শতাধিক। কাল ৯ সেপ্টেম্বর হবে ভোট গ্রহণ।