জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেছেন বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সমাজবিজ্ঞান ভবন কমিটির নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রতিনিধি ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
এর আগে, শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার। তিনি ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি।
মাফরুহী সাত্তার বলেন, ‘নির্বাচনে আমি অনেক অনিয়ম দেখেছি। অনেক মারাত্মক ত্রুটি দেখেছি। এই ত্রুটিগুলো নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আমি নির্বাচন কমিশনের সকলে একমত পোষণ করলেও বিশেষ কিছু কারণে আমার যে মতামত তা গ্রহণে তারা অপারগতা প্রকাশ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আমার মতামতের সুরাহা না করেই ভোট গণনা শুরু করেছে, তখন আমি আমার যে মত তা লিখিতভাবে জানিয়েছি। লেভেল প্ল্যায়িং ফিল্ড বলতে আমরা যা বুঝি নির্বাচনে সেটি ছিল না। আমি যাতে পদত্যাগ না করি সে জন্য গতকাল থেকেই আমার ওপর চাপ ছিল, তবুও আমি পদত্যাগ করছি।’
এ ছাড়াও নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও প্রশাসনের পক্ষপাতের অভিযোগ উঠায় নির্বাচন স্থগিতের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইনও।
তিনি বলেন, ‘জাকসু নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। প্রচুর কারচুপির অভিযোগ উঠেছে প্রায় সব মহলেই। এ নির্বাচন স্থগিত করা উচিত।’