শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫, ০৬:৩৮ পিএম

পোষ্য কোটা: রাবিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫, ০৬:৩৮ পিএম

রাবিতে কোটা ইস্যুকে কেন্দ্র করে উপ-উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

রাবিতে কোটা ইস্যুকে কেন্দ্র করে উপ-উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা ইস্যুকে কেন্দ্র করে উপ-উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। 

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনার পরে উপ-উপাচার্য জুবেরী ভবনের দোতলায় একটি কক্ষে অবস্থান করছেন এবং ভবনের বারান্দা ও প্রাঙ্গনে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনা ক্যাম্পাসে এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে প্রশাসন ভবনের সামনে অনসন শুরু করেন একদল শিক্ষার্থী। আজ বিকেল সোয়া ৩টার দিকে প্রশাসন ভবন থেকে ব্যাক্তিগত গাড়িতে করে বাসববনে রওনা দেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন।

এ সময় সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার ও শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আল শাহরিয়া শুভ’র নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী তার গাড়ি আটকে বিভিন্ন স্লোগান দেন। ২০ মিনিট পরে উপ-উপাচার্য গাড়ি থেকে নেমে হেটেই বাসভবনের দিকে রওনা দেন। তখন শিক্ষার্থীরা তার সঙ্গে বিভিন্ন স্লোগানে পিছু নেন। 

তিনি বাসভবনের ফটকে পৌঁছানোর আগের ফটকে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের ফটক থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেন প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমানসহ কয়েকজন শিক্ষক। তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পোষ্য কোটার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত ফটকের অবস্থান ছাড়বেন না জানান। 

পরে বিকেল পৌনে ৪টায় উপ-উপাচার্য ও প্রক্টরসহ কয়েকজন শিক্ষক রওনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাব অর্থাৎ জুবেরী ভবনের উদ্দেশে। এ সময় শিক্ষার্থীরা তার পিছু নেয় এবং তার আগেই জুবেরী ভবনের ফটকের অবস্থান নেন। ২০ মিনিটের অপেক্ষা শেষে উপ-উপাচার্য প্যারিস রোডের দিকে হাটা শুরু করে কিছুদূর আগালে শিক্ষার্থীরা আবারও স্লোগান দিয়ে তার পিছু নেয়। পরে সেখানে উপ-উপাচার্য ও প্রক্টরের সঙ্গে যোগ দেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক খলিলুর রহমানসহ কয়েককজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা। 

তখন তারা আবারও জুবেরী ভবনে ফেরত আসেন। বেলা সোয়া ৪টায় ভবনের ফটকে এসে শিক্ষার্থীদের ধাক্কা দিয়ে ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা হাত প্রসারিত করে তাদের বাধা দেন। তখন শিক্ষক-কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের ধাক্কা দিয়ে ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনার এক পর্যায়ে জুবেরী ভবনের পশ্চিম ব্লকের সিড়ি দিয়ে দোতলায় উঠে যান উপ-উপাচার্য। সিড়ি দিয়ে ওপরে উঠার সময়েও তিনি এক শিক্ষার্থীর গলা টিপে ধরেন এবং তাকে ধাক্কা দিয়ে সিড়িতেই ফেলে দোতলার একটি কক্ষে অবস্থান নেন উপ-উপচার্য। এরপরে এই বিকেল সাড়ে ৫টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপ-উপাচার্য ওই কক্ষে অবস্থান করছেন এবং শিক্ষার্থীরা ভবনের ব্লকে এবং প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়েছেন। এ সময় তাদের সঙ্গে সংহতি জানান বামপন্থী ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতারা। এ দিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিকেল ৫টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় শাখা ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছিলেন। এ সময় প্রশাসন ভবনে গাড়ি আটকে দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে তিনি হেঁটে বাসায় যেতে থাকেন। তাকে বাসায় যেতে দেওয়া হয়নি। পরে পাশেই জুবেরী ভবনে আলোচনার জন্য চেয়েছিলেন। জুবেরী ভবনে প্রবেশ করার সময় সামনে এসে শিক্ষার্থীরা দাঁড়ান। তখন এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। কী কে কীভাবে শুরু করে জানি না।’

Link copied!