ঢাকা রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

পবিপ্রবিতে নারী শিক্ষার্থীদের আলাদা নামাজের কক্ষ চালু

দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫, ১০:০৬ পিএম
পবিপ্রবিতে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আধুনিক নামাজের কক্ষ উদ্বোধন করা হয়েছে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) কেন্দ্রিয় লাইব্রেরির পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় নারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আধুনিক নামাজের কক্ষ উদ্বোধন করা হয়েছে। ধর্মীয় অনুশীলনের জন্য এখানে রাখা হয়েছে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা পরিচ্ছন্ন কার্পেট, যথাযথ পর্দা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, পূর্ণাঙ্গ ওজুখানার সুব্যবস্থা। ফলে ধর্মপ্রাণ ছাত্রীদের জন্য এটি হয়ে উঠছে স্বস্তি ও মর্যাদার এক অনন্য স্থান।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি দপ্তর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। পরে নামাজের কক্ষটি পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম, লাইব্রেরিয়ান অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান, চাঁদ সুলতানা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আবুইউসুফ এবং এগ্রিকালচারাল বোটানি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. জহুরুল হক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী আমার কাছে সন্তানের মতো। তাদের প্রয়োজন, তাদের স্বপ্ন এবং ধর্মীয় অনুশীলনের অধিকারকে আমি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিই। নারী শিক্ষার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে, স্বাচ্ছন্দ্যে এবং মর্যাদার সঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারে এমন একটি স্থায়ী ব্যবস্থা করা আমার কাছে শুধু দায়িত্ব নয়, বরং একটি নৈতিক অঙ্গীকার ছিল। আজ সেই দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হওয়ায় আমি আনন্দিত। আমি বিশ্বাস করি, এই নামাজ রুম শিক্ষার্থীদের অন্তরে আনবে প্রশান্তি, নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিকতার আলোকধারা।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু নামাজ রুমেই সীমাবদ্ধ থাকেনি পবিপ্রবি প্রশাসনের পদক্ষেপ। উপাচার্যের বিশেষ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে পর্দানশীল ও ধার্মিক ছাত্রীদের জন্য আলাদা খাবার কক্ষ চালুর প্রস্তুতি চলছে, যার নাম রাখা হয়েছে ‘পর্দা কর্নার’। পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য খাবার গ্রহণের সময় যাতে ভিড় বা বিশৃঙ্খলা না হয়, সে জন্য আলাদা সিরিয়াল লাইনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শিগগিরই এই সুবিধাগুলো চালু হলে শিক্ষার্থীরা পাবেন আরও সুশৃঙ্খল, আরামদায়ক ও মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশ।’

উল্লেখ্য, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় মসজিদে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা নামাজ কক্ষের ব্যবস্থা না থাকায় অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন সময় নামাজের সুযোগ দেওয়া হলেও তা ছিল অপ্রতুল ও অপর্যাপ্ত। নতুন এই নামাজ রুম এবং আসন্ন সুবিধাগুলো সেই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হিসেবে দেখা দিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, উপাচার্যের ব্যক্তিগত আগ্রহ ও নিবিড় প্রচেষ্টায় স্থাপিত এই উদ্যোগগুলো শুধু ধর্মীয় অনুশীলন বা খাবার গ্রহণের জন্য নয়, বরং তাদের মানসিক প্রশান্তি, আত্মিক বিকাশ এবং মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।