জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজিলতুন্নেসা হলের চাকরিচ্যুত তিন কর্মচারী চাকরি ফেরত চেয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকালে তারা হলের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
ভুক্তভোগীরা হলেন- ফজিলতুন্নেসা হলের ডায়নিং এটেন্ডেন্ট মিরা রানী রায়, চম্পা এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মী মোছা. সোমা। তারা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে গত দেড় বছর ধরে হলটিতে কর্মরত ছিলেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে চাকরিচ্যুত চম্পা, সোমা ও মিরা রানী দাবি করেন, তাদেরকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে চাকরি ফেরতের জন্য দাবি জানান।
চম্পা বলেন, আমরা যারা হলের কর্মচারী আছি, হলের প্রভোস্ট স্যার একে একে সবাইকে তার বাসায় যেতে বলে। পরবর্তীতে বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হই। তার বাসায় যেতে না চাইলে বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করেন এবং বাসায় না গেলে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। পরবর্তীতে হল সুপার আমাদেরকে না আসতে বলেন। শুধু প্রভোস্ট স্যারের বাসায় কাজ করতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে আমাদেরকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এই অন্যায়ের বিচার চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও ভিসি স্যারের কাছে আবেদন আমরা যেন চাকরি ফেরত পাই।
কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে মোছা. সোমা বলেন, চাকরি থেকে পাওয়া অর্থের মাধ্যমে সংসার চালাইতাম। স্যারের বাসায় যায়নি বলে আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। স্যারদের কাছে রিকুয়েস্ট চাকরি ফিরিয়ে দিবেন।
মীরা রানী বলেন, আমাদের চাকরি ফেরত পাওয়ার জন্য অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। এর আগে হল সুপার আমাকে বলেন তুমি হিন্দু, স্যার যেহেতু মুসলমান তোমাকে স্যারের বাসায় যেতে হবে না। তাহলে হঠাৎ করে আমাকে চাকরিচ্যুত করে মানসিকভাবে অত্যাচার কেন করা হলো। পূজায় আনন্দের এ সময়ে চাকরিহীন হয়ে পরিবারের সকল আনন্দ মলিন হয়ে গেছে। চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবির কারণে পূজো দিতে পারছি না, পরিবারকে সময় দিতে পারছি না। চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট ফজিলাতুন্নেসা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর নজরুল ইসলামের বাসায় কাজ করতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন