রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ব্রাকসু) হল সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ও ভোটার হতে পারবেন অনাবাসিক শিক্ষার্থীরাও।
গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদিত ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা-২০২৫’ অনুসারে এ তথ্য জানা গেছে।
বিধিমালার ধারা ৩(১)-এ বলা হয়েছে, হল সংসদের নির্বাচনে শিক্ষার্থী বলতে সেই পূর্ণকালীন শিক্ষার্থীদের বোঝানো হবে যারা ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছেন এবং বর্তমানে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর কোর্সে অধ্যয়নরত। শিক্ষার্থীরা অবশ্যই কোনো হলের সঙ্গে সংযুক্ত এবং সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদানের আওতাভুক্ত হতে হবে।
তবে সান্ধ্যকালীন কোর্স যেমন- এমবিএ, ইএমবিএ, এমএড, পেশাদার বা নির্বাহী মাস্টার্স, পিএইচডি, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট কোর্স, ভাষা কোর্স ইত্যাদির শিক্ষার্থীরা ভোটার হওয়ার যোগ্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরাও ভোটার হতে পারবেন না।
ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী হেলাল মিয়া বলেন, ‘গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে, যার যে হলে সংযুক্তি তারা সবাই সেই হলের ভোটার। এটি যুক্তিসংগত নয়, কারণ বেরোবির ৯০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী মেসে থাকে। আর আবাসিক শিক্ষার্থী মাত্র ১০ শতাংশ। অনাবাসিক শিক্ষার্থী যদি ভোট দিতে পারে, তাহলে আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীর মধ্যে পার্থক্য কোথায়?’
তিনি আরো বলেন, ‘ভোটের সময় প্রার্থীরা কীভাবে মেসভিত্তিক শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করবেন এবং হল প্রশাসন অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের কোনো তথ্য তালিকা রাখে না।’
ভেন্ডার এন্ড ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আকতার হোসেন জীবন বলেন, বিভিন্ন যোগ্যতা ফেস করে একজন শিক্ষার্থী আবাসিক ভাবে হলের সিট পায়। একটা হলে ২০০ এর উপরে স্টুডেন্ট থাকেন। হল সংসদে অনাবাসিক শিক্ষার্থীরাও সুযোগ পেলে তাদের কেউ নির্বাচিত হলে কিভাবে হলের সমস্যা সমাধান হবে? হলের যেকোনো সমস্যা সম্পর্কে না আছে তাদের ধারণা, না আছে কোন অভিজ্ঞতা।
তিনি আরো বলেন, ৯০% শিক্ষার্থী মেসে থাকে তাদের কেউ হল সংসদ এ নির্বাচিত সদস্য হইলে হলের আবাসিক শিক্ষার্থী দের সংকট মোকাবিলায় কোন অভিজ্ঞতা রাখেনা। নানা রকম যোগ্যতা ফেস করে একজন শিক্ষার্থী হলের সিট পায় সুতরাং আবাসিক শিক্ষার্থীই হল সংসদ নির্বাচন এর অধিকার রাখে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা কমিটির সদস্য ও ছাত্র উপদেষ্টা ড. ইলিয়াছ প্রামাণিক বলেন, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত নীতিমালা অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী কোনো না কোনো হলে সংযুক্ত এবং সেই হলের ভোটার ও প্রার্থী হতে পারবেন।
বেরোবিতে তিনটি আবাসিক হল রয়েছে- শহিদ ফেলানী হল (সাবেক শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল), শহিদ মুখতার ইলাহী হল এবং বিজয়-২৪ হল (সাবেক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল)। তিন হলের সিট সংখ্যা যথাক্রমে ৩৪৪, ২৪০ এবং ২৪০। সব মিলিয়ে ১ হাজারেরও কম।



