চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদন নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনের ২১২ ও ২১৩ নম্বর কক্ষে সামাজিক সংগঠন ‘সোচ্চার’-এর উদ্যোগে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে সোচ্চার স্টুডেন্টস নেটওয়ার্ক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাহাত আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দিন মিঝি, একই বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ এ.বি.এম. জাকির হোসেন, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুস সবুর ও একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, সহকারী প্রক্টর ও সোচ্চারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম এবং ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ.টি.এম. মিজানুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব নসরুল্লাহ বলেন, ‘এই রিপোর্টের মাধ্যমে বিগত স্বৈরশাসনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। সমস্যাগুলো আমাদের আরও গভীরভাবে জানতে ও বুঝতে হবে। এটি আমাদের সচেতনতার অংশ। এই রিপোর্ট উপস্থাপনের ফলে আমাদের কাজ হবে এটি অধ্যয়ন করে নিজেদের দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা।’
সেমিনারে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের গভর্নেন্স বিশেষজ্ঞ ও সিনিয়র মানবাধিকার কর্মকর্তা জাহিদ হোসাইন এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শাইখ মাহদি, সোচ্চার প্রজেক্ট ম্যানেজার ও কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক সুমাইয়া তামান্না এবং সহকারী পরিচালক সুমাইয়া তাসনিম।
সেমিনারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেশব্যাপী ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়নের বাস্তবচিত্র, ঘটনাবলীর মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট বাস্তবতা, তথ্য বিশ্লেষণ এবং সুপারিশ তুলে ধরা হয়। একইসাথে ক্যাম্পাসগুলোতে অধিকার সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথাও জানান সোচ্চার প্রতিনিধিগণ।



