ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শাহীন আলমর জীবনে বেকারত্ব ছিল বড় বাধা। ২০২১ সালে চাকরির অভাবের কারণে তার প্রেমিকা তাকে ছেড়ে চলে যান। সেই কষ্টের মুহূর্ত কাটিয়ে আজ শাহীন ৪৪তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।
শাহীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ, ২০১২–১৩ সেশনের শিক্ষার্থী এবং হাজী মুহাম্মদ মুহসিন হলের আবাসিক ছিলেন। প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর অভিমানে তিনি তার দেওয়া উপহারগুলো পুড়িয়ে সেই ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন।
শাহীন ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তারাকান্দা এম.এল. উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং তারাকান্দা বঙ্গবন্ধু কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন। বাবা-মা মারা যাওয়ায় বড় ভাইয়ের সহায়তায় টিউশন করিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন তিনি।
বিসিএস ক্যাডার হওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করে শাহীন আলম একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আল্লাহর কাছে অনেক অনেক শুকরিয়া, আলহামদুলিল্লাহ। আজ ৪৪তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। আমার সাফল্যের সবচেয়ে বড় অবদান আমার বড় ভাইয়ের, যার সহায়তায় ছোটবেলা থেকে পড়াশোনা চালাতে পেরেছি।’
শাহীন জানান, এটি তার পঞ্চম বিসিএস পরীক্ষার চেষ্টাই সাফল্য এনেছে। এর আগে তিনবার তিনি প্রত্যাশিত ফল পাননি। বিসিএস ছাড়া অন্য কোনো চাকরির প্রস্তুতি নেননি। হতাশা থাকলেও তিনি হাল ছাড়েননি।
তিনি আরও বলেন, ‘বাবা-মা বেঁচে না থাকায় আমার বড় বোনের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করেছি। বড় বোন ও দুলাভাই আমার সাফল্যের বড় ভাগিদার।’
শাহীন আলমের গল্প প্রমাণ করে, কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং পরিবারের সহায়তায় ব্যক্তিগত হতাশা জয় করে বড় সাফল্য অর্জন সম্ভব।

