ঢাকা শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৫

এবারের ডাকসু নির্বাচনের খরচ আগের চেয়ে তিনগুণ

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৫, ১২:৫৮ পিএম
ছবিটি এআই দিয়ে বানানো।

গত ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রার্থীরা অধিকাংশ পদে জয়ী হয়েছেন। এবারের নির্বাচনের মোট খরচ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭ লাখ ২৯ হাজার টাকা, যা ২০১৯ সালের নির্বাচনের খরচের প্রায় সাড়ে তিনগুণ। ২০১৯ সালের নির্বাচনে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৩১ লাখ ৯১ হাজার টাকা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালকের দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে মোট ৪১টি খাতে এই অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্যালট পেপার মুদ্রণ ও স্ক্যানিং করে ফলাফল তৈরি খাতে সবচেয়ে বেশি ২৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

এ ছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সভার জন্য ৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা, নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চিফ রিটার্নিংসহ অন্যান্য খাতে ৬ লাখ ১৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ১৮টি হলের ৩৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ভোট গ্রহণের দিনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ২৬৬ কর্মকর্তার জন্য ১১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

ব্যালট বাক্স কেনা ও মেরামতের জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা। উপাচার্য ও প্রক্টর দপ্তরের সভা ও আপ্যায়নে খরচ হয়েছে ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এ ছাড়া নির্বাচনের সিসি ক্যামেরা ভাড়া ও হার্ডডিস্ক কিনতে খরচ হয়েছে প্রায় ৫ লাখ ২ হাজার টাকা।

২০১৯ সালের নির্বাচনে ব্যালট পেপার ডিজাইন, সরবরাহ ও স্ক্যানিংয়ে খরচ হয়েছিল ১২ লাখ ৮২ হাজার টাকা। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সভায় খরচ হয়েছিল ২ লাখ টাকা এবং উপাচার্য ও প্রক্টর অফিসের সভায় প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছিল।

এবার এত বড় খরচ বৃদ্ধির কারণ জানতে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন, ‘এখানে যে ব্যয়ের হিসাব দেওয়া হয়েছে, সেখানে অনেক খাত অন্তর্ভুক্ত আছে। তাই মোট খরচ কত হয়েছে, এ বিষয়ে আমি এখন মন্তব্য করতে পারব না। আমাকে আগে সব হিসাব দেখতে হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতি বছর ৬০ টাকা করে নেওয়া হয়। হিসাব পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, পাঁচ বছরে এর মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ হয়েছে প্রায় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এবারের নির্বাচনের জন্য এই অর্থের প্রায় ৯২.৫ শতাংশ ব্যয় হয়েছে।