ঢাকা শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৫

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে নতুন নিয়ম, আবেদন করবেন যেভাবে

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৫, ০১:৪৫ পিএম
প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ। ছবি- সংগৃহীত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরও ১০ হাজার ২১৯ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার। প্রথম ধাপে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগ থেকে প্রার্থীদের বাছাই করা হবে।

বৃহম্পতিবার (৬ নভেম্বর) প্রকাশিত এক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, শনিবার (৮ নভেম্বর) থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে, যা চলবে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ধূমপায়ী বা মাদকাসক্তরা এই পদে আবেদন করতে পারবেন না। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ। সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী বলেছেন, ‘ধূমপান ও মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের শিক্ষক পদে অযোগ্য ঘোষণা করা জনস্বাস্থ্যের জন্য ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।’

সহকারী শিক্ষকের পদে বেতন হবে ২০১৫ সালের জাতীয় বেতনস্কেলের ১৩তম গ্রেডে, অর্থাৎ মাসিক মূল বেতন ১৭,৬৫০ টাকা।

প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি, যেখানে ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ (৪ স্কেলে ২.২৫, ৫ স্কেলে ২.৮) থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনে কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ বা সমমানের ফলাফল গ্রহণযোগ্য নয়।

আবেদন করা যাবে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা, সঙ্গে টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ১২ টাকা, মোট ১১২ টাকা।

এবারের নিয়োগ পরীক্ষায় কাঠামোগত পরিবর্তন আনা হয়েছে।

লিখিত পরীক্ষা: ৯০ নম্বর, সময় ৯০ মিনিট

বাংলা ও ইংরেজি: ২৫ করে ৫০ নম্বর

গণিত ও সাধারণ জ্ঞান: ২০ করে ৪০ নম্বর

মৌখিক পরীক্ষা: ১০ নম্বর

লিখিত পরীক্ষায় পাশ নম্বর ৪৫ (৫০%), মৌখিকেও ৫ (৫০%) নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে লিখিত পরীক্ষা ৭৫ নম্বর ও মৌখিক ২৫ নম্বরের ছিল, যেখানে শিক্ষাগত ফলাফলের ভিত্তিতে অতিরিক্ত নম্বর যোগ করা হতো।

এই নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালিত হবে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ অনুযায়ী। বিবাহিত নারী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন তাদের স্বামী বা বাবার স্থায়ী ঠিকানার যেকোনো একটির ভিত্তিতে। নিয়োগ হবে উপজেলা বা থানাভিত্তিক এবং নির্বাচিত প্রার্থীকে নিজের উপজেলা বা থানার বিদ্যালয়েই কর্মরত থাকতে হবে।

গত ২ নভেম্বর সংশোধিত বিধিমালায় নতুন করে সৃষ্ট সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক পদ বাতিল করা হয়েছে, যা নিয়ে ইতোমধ্যে সমালোচনা শুরু হয়েছে।