ঢাকা রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫

নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির

জাককানইবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নবম পে-স্কেল নিয়ে প্রহসনের প্রতিবাদে এবং ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে বৈষম্য নিরসনসহ নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বানে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) কর্মচারী সমিতি।

রোববার (১৬ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ সময় কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির সভাপতি এবং বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী কর্মচারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের যে দাবি, তা হলো নবম পে-স্কেল। সেই দাবির প্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার একটি পে কমিশন গঠন করেছে। পে কমিশন বেতন কাঠামো চূড়ান্তকরণে এবং সার্বিক আলোচনার জন্য আমাদেরসহ অন্যান্য সংগঠনকে বিভিন্ন সময়ে ডেকেছে। আমরা সেসব মিটিং ও আলোচনায় অংশ নিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘পে-কমিশন আমাদের আশ্বস্ত করেছিল যে ডিসেম্বরের মধ্যে এই পে-স্কেল বাস্তবায়ন হবে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আমরা অর্থ উপদেষ্টার বিভিন্ন বক্তব্যে হতাশাগ্রস্ত হয়েছি। আমরা আশা করি, এ সরকারই নবম পে-স্কেল কার্যকর করবে। এই দাবির প্রেক্ষিতে আজ আমরা বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের ডাকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছি।’

তিনি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যদি ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন না করা হয়, তাহলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব। বিগত সরকার যেমন ফ্যাসিজমের পরিচয় দিয়েছে, আপনারা তেমন করবেন না। ৫ আগস্টের কথা ভুলে যাবেন না। আমরা শুধুমাত্র নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন চাই। আমাদের আর কোনো কথা নেই।’

কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির সাবেক সভাপতি মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘আজকের আন্দোলনটি শুধুমাত্র নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিকেই কেন্দ্র করে। সারা দেশব্যাপী এই কর্মসূচি বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের ডাকে পালন করা হয়েছে। পে-কমিশন গঠন করে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে বর্তমান সরকার নতুন পে-স্কেল কার্যকর করবে। আমরা খুব আশাবাদী ছিলাম, কিন্তু কে বা কারা চাপিয়ে আমাদের এই নতুন পে-স্কেল হঠাৎ বন্ধ করে দিল। আর যদি পে-স্কেল না দেওয়া হয়, তাহলে কেন পে-কমিশন গঠন করে সরকারি কোষাগারের টাকা ব্যয় করা হলো? এর জবাব কী? প্রায় ১০ বছর ধরে আমরা কোনো পে-স্কেল পাইনি। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনা করলে পরিবারের সকল সদস্যের ভরণপোষণ চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তাই আশা করি, বর্তমান সরকার নতুন পে-স্কেল দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্যকর করবে।’

প্রসঙ্গত, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ গত বুধবার (১২ নভেম্বর) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের নতুন পে-স্কেলের সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের নয়, বরং আগামী নির্বাচিত সরকার নেবে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করে যাবে।’