চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় তালিকাটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। এতে মোট ২৫ হাজার ৮৬৬ জন শিক্ষার্থী ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী জানান, ‘খসড়া ভোটার তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি তালিকাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হবে। কোনো শিক্ষার্থীর এই তালিকা নিয়ে আপত্তি থাকলে তাকে ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনের অফিসে জানাতে হবে। কমিশন যাচাই-বাছাই শেষে প্রয়োজনীয় সংশোধন করবে।’
এ ছাড়াও খসড়া ভোটার তালিকাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি আবাসিক হল, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২৮ আগস্ট ঘোষিত নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী তালিকায় ২৫ হাজার ৭৫২ জন শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। পরবর্তী যাচাই-বাছাই শেষে নতুন করে আরও ১১৪ জন শিক্ষার্থীকে তালিকায় যুক্ত করা হয়।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী, ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ১৫ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। যাচাই-বাছাই হবে ১৮ সেপ্টেম্বর এবং প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ২১ সেপ্টেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৫ সেপ্টেম্বর। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১২ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ শেষে তাৎক্ষণিকভাবে গণনা শুরু হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৬ সালে এবং প্রথম চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালে। নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও গত ৩৫ বছর ধরে তা স্থগিত ছিল।
এদিকে নির্বাচনের আগে ক্যাম্পাসে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে গেছে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, তুচ্ছ একটি ঘটনা কোনো পক্ষের ইন্ধনে বড় আকার ধারণ করে। প্রশাসনের গাফিলতির কারণেই অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এতে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে বর্তমান প্রশাসন চাকসু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে পারবে কি না।