ঢাকা শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫

পরীক্ষায় নকল ঠেকাতে ৩৩ নির্দেশনা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২৫, ০৫:৩৬ পিএম
ছবি- সংগৃহীত

চলতি বছরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠু, শৃঙ্খলাপূর্ণ ও নকলমুক্ত পরিবেশে সম্পন্ন করার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ৩৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। 

শনিবার (২৪ মে) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আন্ত শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা চিঠিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে—  প্রতি ২০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য ১ জন কক্ষ পরিদর্শক এবং প্রতিটি কক্ষে কমপক্ষে ২ জন করে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে পরীক্ষাকেন্দ্রে সব ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ ও ছবি তোলা যাবে না। শুধুমাত্র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরো বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে আসন বিন্যাস করতে হবে। এছাড়া প্রতি ২০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য একজন কক্ষ পরিদর্শক নিয়োজিত থাকবেন, তবে প্রতিটি কক্ষে সর্বনিম্ন দুইজন পরিদর্শকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও ব্যবস্থাপনার বিষয়েও কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার দিন সকালে প্রাপ্ত এসএমএস অনুসারে নির্ধারিত সেট ব্যবহার করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী খাম খোলা যাবে। অব্যবহৃত সেট অক্ষত অবস্থায় বোর্ডে ফেরত পাঠাতে হবে। প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে আনার সময় থানার ট্যাগ অফিসার ও পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রে প্রবেশ, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পরীক্ষার ৩০ মিনিট পূর্বেই পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এ সময়ের পর কেউ এলে তার নাম, রোল নম্বরসহ বিস্তারিত রেজিস্টার খাতায় লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং পরীক্ষা শেষে সেটি বোর্ডে জমা দিতে হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে ভিড় বা জটলা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।

প্রয়োজনে হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরি করতে এবং সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। বোর্ড থেকে সরবরাহকৃত নকল প্রতিরোধমূলক পোস্টার কেন্দ্রের প্রবেশপথে দৃশ্যমান স্থানে টানানোর নির্দেশনা রয়েছে।

প্রবেশপত্রে কোনো ভুল থাকলে তা চার কর্মদিবসের মধ্যে সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে শুধু এনালগ কাটাযুক্ত ঘড়ি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বর্ষাকালে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হলে যেন সমস্যা না হয়, এজন্য স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসকে চিঠি দিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

পরীক্ষা শেষে উত্তরপত্র সঠিকভাবে গুছিয়ে বোর্ডে প্রেরণের বিষয়েও নির্দেশনা রয়েছে। আলাদা সেটে সিকিউ ও এমসিকিউ উত্তরপত্র, ইংরেজি ভার্সনের জন্য পৃথক খাতা ব্যবস্থাপনাসহ সব বিষয়ে কঠোরভাবে নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

পরীক্ষার পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য অনলাইন তথ্য ব্যবস্থাপনায়ও সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনার শেষাংশে বোর্ডের ২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালাও যথাযথভাবে অনুসরণের জন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছে।