ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫

৩৮ শিক্ষকের কলেজে ৭৪ পরীক্ষার্থী, পাস মাত্র ৮

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৫, ০৪:২৪ পিএম
আক্কেলপুর মহিলা কলেজ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর মহিলা কলেজে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় চরম ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। এ বছর কলেজটি থেকে মোট ৭৪ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে মাত্র আটজন শিক্ষার্থী। ওই কলেজে শিক্ষক রয়েছেন ৩৮ জন।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) প্রকাশিত ফলাফলে বিষয়টি জানা যায়।

একই অবস্থা উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের দুটি কলেজে—প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, নূরনগর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজে ২১৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন, যার মধ্যে অকৃতকার্য হয়েছে ১৬৭ জন। কৃতকার্য ৪৮ জন। এই কলেজে শিক্ষক রয়েছেন ৩৭ জন।

এদিকে তিলকপুর মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় বসেন ৩৮ জন শিক্ষার্থী, যার মধ্যে কৃতকার্য হয় ছয়জন এবং অকৃতকার্য হয় ৩২ জন শিক্ষার্থী। এই কলেজেও ২৭ জন শিক্ষক রয়েছেন।

ফলাফলে এমন ভরাডুবিতে কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। প্রতিটি কলেজে এত শিক্ষক থাকার পরও কেন এত শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ফেল করবে এমন প্রশ্ন রাখছেন অভিভাবকরা। সচেতন নাগরিকরা প্রশ্ন তুলছেন, সেই সব কলেজের শিক্ষার মান ও নিয়মিত ক্লাস পরিচালনা নিয়ে।

ফল বিপর্যয়ের কারণ জানতে চাইলে আক্কেলপুর মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবিদা সুলতানা কুইন বলেন, ‘এমন ফলাফলে আমরা অন্তান্ত মর্মাহত, ফলাফলের এমন অবস্থা এর আগে হয় নাই। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত কলেজে আসে না। আমরা শিক্ষকদের নিয়ে বসব, আগামীতে ভালো ফলাফল হবে বলে আশা করছি।’

জানতে চাইলে নুরনগর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হাকিম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, ‘আগে পরীক্ষা দিলেই পাস করত। সেটা দেখে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনার আগ্রহ হারিয়েছে। এ কারণে এমন ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে।’

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে আক্কেলপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাবেদ ইকবাল হাসান রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘এমন ফলবিপর্যয় মেনে নিতে কষ্ট হয়। শিক্ষার্থীরা কলেজমুখী না হওয়ায় এমন রেজাল্ট হয়েছে। অভিভাবকদের সচেতনার অভাব। সব মিলিয়ে এমন ফল বিপর্যয় হয়েছে।’