রাজধানীতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে আলোচনা করতে সভায় বসেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে সভা শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সভার সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. মজিবুর রহমান। সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২), যুগ্ম সচিব (মাধ্যমিক-২), উপসচিব (মাধ্যমিক-২) এবং আইন শাখার কর্মকর্তারা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশে না করার শর্তে গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বদলি শুরু করতে চেয়েছিলাম। এটি একটি পাইলট প্রজেক্ট ছিল। পাইলট সফল হলে পরবর্তীতে ইনডেক্সধারী সব শিক্ষক বদলির আওতায় আসার পরিকল্পনা ছিল। তবে এর আগেই রিট করা হয়েছে এবং আদালত রুল জারি করেছেন। এখন আমাদের রুলের জবাব দিতে হবে।’
তিনি আরও জানান, ‘এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বদলির নীতিমালার কয়েকটি ধারার বিষয়ে আদালত জানতে চেয়েছে। আমরা কীভাবে জবাব দেব, সভায় সেটি আলোচনা হবে। এছাড়া সর্বজনীন বদলির বিষয়টিও সভায় আলোচিত হবে।’
গত ১০ আগস্ট হাইকোর্ট বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা) এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলিতে বৈষম্যের অভিযোগে দায়ের করা রিট পিটিশনের ওপর রুল জারি করেন। হাইকোর্ট বেঞ্চের নেতৃত্ব দেন বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুর।
রুলে বলা হয়েছে, জনবল কাঠামো ও এমপিওভুক্ত শিক্ষক বদলি নীতিমালা-২০২১ এর বিধি ১২.২ এবং স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারের মাধ্যমে শিক্ষকদের বদলি নীতি ২০২৪ কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখের আগে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির নিয়োগপ্রাপ্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সমান শর্তে বদলির সুযোগ কেন দেওয়া হবে না, সেটিও হাইকোর্টে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন