বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে আগে যেখানে মাসে ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া ভাতা পেতেন এখন থেকে তারা পাবেন ১ হাজার ৫০০ টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি শাখা থেকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়।
আজ রোববার (৫ অক্টোবর) পরিপত্রটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। পরিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন উপসচিব মোসা. শরীফুন্নেসা।
পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা ১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এ ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে সকল আর্থিক বিধি-বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। ভবিষ্যতে এ সংক্রান্ত ব্যয়ে কোনো অনিয়ম দেখা দিলে তার দায়দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে।
এ ভাতা প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক আদেশ জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে। একইসঙ্গে জিও (সরকারি আদেশ) জারি করে তার চার কপি অর্থ বিভাগে পাঠাতে হবে পৃষ্ঠাঙ্কনের জন্য। এটি কার্যকর করতে যথাযথ প্রশাসনিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে পরিপত্রে।
এদিকে এ ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক নেতারা। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘গত ৩০ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। শিক্ষকসমাজ এ পরিপত্র বিশ্বাস করতে পারছে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে অর্থ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে এর সত্যতা নিশ্চিত হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের সঙ্গে যে প্রতারণা করা হয়েছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। মাত্র ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া বাড়িয়ে প্রহসনের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। আমরা অবিলম্বে এ পরিপত্র বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি, শিক্ষকদের মূল বেতনের অন্তত ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা নির্ধারণ করতে হবে।’
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এই দাবিগুলো মানা না হলে পূর্বঘোষিত লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি এগিয়ে আনতে আমরা বাধ্য হব।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন