রবিবার, ০৯ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২৫, ০৯:২৮ এএম

৬৫ হাজার বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ, কর্মবিরতিতে প্রাথমিক শিক্ষকরা

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২৫, ০৯:২৮ এএম

আন্দোলনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ছবি- সংগৃহীত

আন্দোলনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ছবি- সংগৃহীত

দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায় এবং শাহবাগে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন সহকারী শিক্ষকরা।

রোববার (৯ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এ কর্মবিরতিতে সারা দেশের প্রায় ৬৫ হাজারের বেশি বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি শামসুদ্দিন মাসুদ।

তিনি বলেন, আমাদের দাবি বাস্তবায়ন ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আমরা রোববার থেকে সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করব। একই সঙ্গে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চলবে।

এর আগে বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে শিক্ষকদের ‘কলম বিসর্জন’ কর্মসূচিতে পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে বহু শিক্ষক আহত হন। শামসুদ্দিন মাসুদ অভিযোগ করেন, শিক্ষকদের ওপর পুলিশের রাবার বুলেট হামলায় শতাধিক শিক্ষক আহত হয়েছেন। অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঘটনার পর শিক্ষকরা শাহবাগ এলাকা ছেড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আশ্রয় নেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণের পর অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

শিক্ষকদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে : সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন প্রদান, উচ্চতর গ্রেডসংক্রান্ত জটিলতার স্থায়ী সমাধান, সহকারী শিক্ষকদের শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭ এবং এসব বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার। ফলে চলমান কর্মবিরতির কারণে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।

এর আগে চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল সরকারপ্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডে থাকা শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নীত করে। কিন্তু এতে সহকারী শিক্ষকরা বৈষম্যের অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন।

এদিকে, সহকারী শিক্ষকদের আরেকটি অংশ ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারকে সময় দিয়েছে। তাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে তারা পরীক্ষা বর্জন ও আমরণ অনশন কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণা দেবে।

Link copied!