১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভায় অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থীকে শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আইসিটি বিষয়ে ফেল করা এক প্রার্থীর রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এমন নির্দেশনা দেন আদালত।
ফেল করা প্রার্থী মো. মিলন বলেন, ‘আদালত আমাদের যুক্তি, তথ্য ও প্রমাণ শুনে সকলকে পাস করানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা চাই দ্রুত রায় বাস্তবায়ন হোক।’
এ বিষয়ে এনটিআরসিএ’র সহকারী পরিচালক (প্রশাসন, আইন ও সমন্বয়) লুৎফর রহমান জানান, ‘রায়ের কপি দুপুরের পর অফিসে এসেছে। আমি এখনও দেখতে পারিনি। সচিব মহোদয় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।’
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কর্মকর্তারাও রায়ের কপি অফিসে পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তারা জানিয়েছেন, নিয়ম অনুযায়ী রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে এনটিআরসিএ।
অন্যদিকে, চূড়ান্ত ফলাফলে ফেল করা ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রার্থীরা গতকাল বৃহস্পতিবারও (৩ জুলাই) এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের দাবি, ফলাফলে বৈষম্য হয়েছে এবং তা অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।
ভুক্তভোগীরা জানান, ‘যদি আমাদের পাস না করানো হয়, তবে হাজার হাজার মেধাবী ও পরিশ্রমী তরুণ শিক্ষকের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এতে দেশের শিক্ষাখাতে এনটিআরসিএর প্রতি শিক্ষার্থীদের আস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হবে।’
এর আগে ৪ জুন বিকেলে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রার্থী। ফেল করেন ২০ হাজার ৬৮৮ জন। শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় এ যাবতকালে এটিই ভাইভায় সর্বোচ্চ ফেল।
জানা যায়, ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে রেকর্ড প্রায় ১৯ লাখ প্রার্থী আবেদন করেন। ২০২৪ সালের ১৫ মার্চ এ নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রিলিতে পাস করেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন প্রার্থী।
২০২৪ সালের ১২ ও ১৩ জুলাই ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় একই বছরের ১৪ অক্টোবর। এতে পাস করেন ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন। তাদের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন ৮১ হাজার ২০৯ জন।
আপনার মতামত লিখুন :