বেসরকারি মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়মিত প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। কোনো কারণ ছাড়াই বেতন-ভাতা বন্ধ রাখলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও বাতিল এবং কমিটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) অধিদপ্তরের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। চিঠিটি সকল প্রতিষ্ঠান প্রধানকে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়মিতভাবে সরকার থেকে প্রদান করা হলেও কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রধান ও কমিটি কর্তৃক অযৌক্তিকভাবে তা আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বিধি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান প্রধান বা কমিটির এমন করার এখতিয়ার নেই। এমনকি শাস্তিমূলক কারণে কোনো শিক্ষক-কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত হলেও তার খোরপোষ ভাতা বন্ধ করা যাবে না।
এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী বেতন-ভাতা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য একাধিক স্বাক্ষরকারীর বিকল্প রাখা হয়েছে। যেমন, সুপার বা অধ্যক্ষ অনুপস্থিত থাকলে সহকারী সুপার বা উপাধ্যক্ষ এবং তার অনুপস্থিতিতে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক স্বাক্ষর করতে পারবেন।
সভাপতির অনুপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বা জেলা প্রশাসক প্রতিস্বাক্ষর করতে পারবেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, সাময়িক বরখাস্তের আদেশ সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তা প্রতিপালিত হচ্ছে না, যা শৃঙ্খলার পরিপন্থী।
অধিদপ্তর স্পষ্ট জানায়, শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বন্ধ রাখা বিধিবহির্ভূত ও অনভিপ্রেত। এ নির্দেশনা অমান্য করলে 'বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত)' অনুসারে প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও স্থগিত বা প্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিল করা হবে।
পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড প্রবিধানমালা ২০০৯-এর অনুচ্ছেদ ৩৮ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কমিটির বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন