আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস ইউএসএ ইনক এর সাথে যুক্ত হলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী রেশমি মির্জা। সম্প্রতি নিউইয়র্কের উডসাইড কুইন্স প্যালেসে অনুষ্ঠিত কনভেনশনে সংগঠনের পক্ষ থেকে মানবাধিকার রক্ষায় ভূমিকা রাখার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তিকে সম্মাননা সনদ প্রদান করা হয়। এ সময় শিল্পী রেশমিকে সম্মাননা প্রদানের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক এ সংস্থার সাংস্কৃতিক সম্পাদকের পদও প্রদান করা হয়। যুক্তরাস্ট্র থেকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন শিল্পী নিজেই।
কনভেনশনে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনপ্রতিনিধি ও মানবাধিকারকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই মানবাধিকার সংগঠনটি বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
মানবাধিকার সংস্থাটির বিশেষ দায়িত্ব গ্রহণ প্রসঙ্গে রেশমি বলেন, ‘সংগীতের মধ্য দিয়ে মানুষের মাঝে শান্তির বার্তা পৌঁছে দেয়াই একজন শিল্পীর কাজ। আমাদের বর্তমান অশান্ত পৃথিবীতে এই শান্তিটুকু এখন খুব প্রয়োজন। সবারই উচিত নিজ কাজের বাইরেও সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সমাজের প্রতি,পৃথিবীর প্রতি দায়িত্ব পালন করা। আন্তর্জাতিক এ প্লাটফর্মটির মধ্য দিয়ে দেশের ও বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের কল্যানে যদি নিয়োজিত হতে পারি একজন শিল্পী হিসেবে এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে।’
চ্যানেল নাইনের পাওয়ার ভয়েজে সেরা দশে স্থান পাওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলা গানে নিজের উপস্থিতি জানান দেন রেশমি। প্রথম প্রকাশিত গান ‘নিন্দুকের মুখে পড়ুক ছাঁই’ গানটি দিয়েই দারুণ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয় ‘রেশমি ও মাটি’ ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম। লোকগানে তরুণ কণ্ঠস্বর হিসেবে লালন, রাধারমন, শাহ আব্দুল করিম, আব্দুল আলিমের গানকে নিজের ব্যান্ড ও স্বকীয় গায়কির মধ্য দিয়ে নতুনভাবে উপস্থাপন করছেন রেশমি।
বাংলা গানের আন্তর্জাতিক মিউজিক প্ল্যাটফর্ম উইন্ড অব চেঞ্জ এ ‘কমলায় নৃত্য করে’-গানটির মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় মুখ হয়ে ওঠেন রেশমি। টিএম রেকর্ডসের ব্যানারে ‘প্রেমের লাড্ডু’ গানটিও কনসার্টে শ্রোতাদের চাহিদার শীর্ষে থাকে বলে জানালেন এ শিল্পী।
রেশমি জানান, এ ব্যানার থেকে নতুন বছরে বেশ কিছু গান প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। প্রতীক হাসানের সংগীত পরিচালনায় আসছে একটি হিপহপ গান। আজমেরী হক বাঁধন ও দিতিকন্যা লামিয়া চৌধুরীর ‘মেয়েদের গল্প’-চলচ্চিত্রের টাইটেল ট্র্যাক এ সম্প্রতি কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। গানটির সংগীত পরিচালনা করেছেন ফুয়াদ।