টলিপাড়ায় ফের অশান্তি। একের পর এক অভিনেতার ব্যক্তিগত মুহূর্তের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সাহেব ভট্টাচার্যের পর এবার একই ঘটনার শিকার হলেন অভিনেতা ঋত্বিক মুখোপাধ্যায়। প্রথমদিকে বিষয়টি নিয়ে মুখ না খুললেও, অবশেষে সাইবার ক্রাইম শাখার শরণাপন্ন হয়েছেন তিনি।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ঋত্বিক।
একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঋত্বিক বলেন, ‘প্রতিদিন শুটিং থাকায় প্রথমে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিইনি। কিন্তু যখন ছোটবেলার বন্ধুরা ভিডিওটি সম্পর্কে জানায়, তখন নড়েচড়ে বসি। প্রথমে ভেবেছিলাম ভিডিওটি ফেক, কিন্তু পরে যখন দেখি পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, তখন বাধ্য হয়ে আইনি পদক্ষেপ নেই।’
সাইবার সেলে অভিযোগ জানানোর পর, ঋত্বিক আশ্বস্ত হয়েছেন যে, তদন্ত এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথমে যোগাযোগ করি সাইবার সেলের সঙ্গে এবং সবকিছু জানাই। তারা জানিয়েছে, খুব দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এই অভিনেতার দাবি, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ভুয়া এবং প্রযুক্তির সাহায্যে তার মুখ বসিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিজেও ভিডিওটি দেখে হতবাক হয়েছি। সাইবার সেলের প্রাথমিক তদন্ত বলছে, ভিডিওটি মর্ফড এবং এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে বদনাম করার চেষ্টা।’
এ ঘটনার পেছনে কারা রয়েছে, তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থাকলেও ঋত্বিক বলেন, ‘সন্দেহের বশে কাউকে দোষারোপ করতে চাই না। প্রমাণ ছাড়া কাউকে দোষী বলা উচিত নয়। সময়ই সবকিছু প্রকাশ করবে।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ঠিক এমনই ঘটনার শিকার হন অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্য। তার পাশে দাঁড়িয়ে ফেসবুকে সরব হন সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। তবে ঋত্বিকের পাশে এখনো প্রকাশ্যে কাউকে আসতে দেখা যায়নি।
সাইবার সেল এরই মধ্যে বেশকিছু আপত্তিকর লিংক ব্লক করেছে বলে জানিয়েছেন অভিনেতা নিজেই। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখন নজর কলকাতা পুলিশের দিকেই।