‘বিরতির পরে’ নাম শুনে মনে হয় মাঝপথে থেমে যাওয়া কোনো গল্প যেন আবার শুরু হবে নতুন করে। শিরোনামটা যেমন কৌতূহল জাগায়, ঠিক তেমনি নাটকের গল্পটাও টেনে নিয়ে যায় অজানা অনুভূতির এক যাত্রায়। ফিরে আসবে কি কিছু? নাকি সবটাই পুড়ে যাবে না পাওয়ার আক্ষেপে, এই প্রশ্নেই জমে উঠেছে আলোচনা। এলআর সোহেল পরিচালিত এই নাটকের ভরকেন্দ্রে রয়েছে সুনেরাহ বিনতে কামাল ও আরশ খানের রসায়ন।

নাটকের কাহিনি লিখেছেন ‘মহাপুরুষ’। গল্পে দেখা যায়, প্রেমের মাঝে এক হঠাৎ বিরতি—না বলা অনেক কিছু জমা পড়ে সম্পর্কের ভাঁজে। সেই বিরতির ফাঁকে কে এগিয়ে যাবে, কে ফিরবে পেছনে—এই টানাপোড়েনের মধ্যেই চরিত্রগুলো নিজেদের আবিষ্কার করে ভিন্নভাবে।
সুনেরাহ এখানে যেন আরও পরিণত। নাটকের শুরু থেকেই তার চরিত্রটিকে ঘিরে বোনা হয় রহস্যের জাল। আরশ খান তার বিপরীতে যেন এক নিঃশব্দ জেদ, যা বলা যায় না তা চোখে বোঝাতে পারেন তিনি। দুজনের মাঝে আবেগের চাপা উত্তেজনা দর্শকদের মোহিত করেছে।

এই জুটির সঙ্গে আছেন আবু হুরায়রা তানভীর, সাবিহা জামান, এমকে এইচ পামির ও বাসার বাপ্পি—প্রতিটা পারফরম্যান্সেই আছে অভিনয়ের পরিপক্বতা। নাটকের চিত্রগ্রহণ করেছেন ইমাদ ইমরান, সম্পাদনা ও রঙে ছিলেন হাবিবুর রহমান হাবিব।
দর্শকদের মন্তব্যে বারবার উঠে আসছে নাটকটির ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের প্রশংসা। বিশেষ করে সংলাপহীন মুহূর্তগুলোতে সুর যেন চরিত্রগুলোর না বলা কথাগুলোকেও জোরে বলে ওঠে।

তানজিল হাসানের কম্পোজিশন নাটকের আবেগকে এমনভাবে বয়ে নিয়ে যায়, যেন প্রতিটি দৃশ্যেই একেকটা গান বাজে হৃদয়ের ভিতরে।
সুনেরাহ বিনতে কামাল ও আরশ খানের রসায়ন দেখে মুগ্ধ বেশিরভাগ দর্শক। ইতিমধ্যে নাটকটি ইউটিউবে প্রায় পাঁচ লাখ ভিউ অর্জন করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :