ছোট পর্দার আকাশে এখন যে ক’জন নায়িকা আপন আলোয় ঝলমল করছেন তাদের একজন তানিয়া বৃষ্টি। ক্যারিয়ারের শুরুতে মডেলিঙের রঙিন জগৎ থেকে এসে নাম লেখান অভিনয়ে। সেখান থেকে সময়ের গায়ে গায়ে লেগে আছে তার সংগ্রামের গল্প। আর এবার সেই কষ্টের সুরটাই যেন ফুটিয়ে তুললেন ‘জয়িতার দিনরাত্রি’ নাটকে।
‘জয়িতা’ চরিত্রে অভিনয় করে যেন নিজের পুরোনো ক্ষতগুলোকেই আবারও সামনে এনেছেন তিনি। সেই ক্ষত যেগুলো কাউকে বলা যায় না, যেগুলো লুকিয়ে রাখতে হয় ওয়াশরুমের কলের আওয়াজে।

‘এমনও হয়েছে, ওয়াশরুমের কল ছেড়ে দিয়ে কেঁদেছি, যাতে কেউ না শোনে’—একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্যে এমন করেই নিজের ভেতরের অভিমান ফাঁস করেন তানিয়া।
তানিয়া বলেন, ‘জয়িতা যতটা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এসেছে, আমি হয়তো অতটা পাইনি। কিন্তু আমারও স্ট্রাগলের কমতি ছিল না। অনেকবার শুনেছি, নায়ক চায় না বলেই কাজ বাতিল। ডেট দেওয়া থাকলেও কাজ হয়নি। তবুও হেরে যাইনি।’ আর সেই জেদের জ্বালাতেই আজকের তানিয়া।
এর আগে নানা নাটকে তার অভিনয় প্রশংসিত হলেও নিজের মনমতো গল্প ও চরিত্র এবারই প্রথম বলে জানান তিনি। নির্মাতা তুহিন হোসেনের পরিচালনা আর আওরঙ্গজেবের লেখা, দুই মেধার মিশেলে গড়া ‘জয়িতার দিনরাত্রি’ যেন তানিয়ার নিজের জীবনেরই প্রতিচ্ছবি।

এই মুহূর্তে কাজেও ভাটা নেই তার। নাজমুল রনির পরিচালনায় শেষ করেছেন ‘পার্সেল’ একটি নামের নাটক। অনন্য ইমন ও মহিন খানের নির্দেশনাতেও দুটি নাটকের কাজ শেষ।
অর্থাৎ ক্যামেরার সামনে যেমন ব্যস্ত, তেমনি অন্তরের কোণে জমে থাকা কান্নাও যেন এখনও চুপিচুপি ওয়াশরুমের কলের সঙ্গে গড়িয়ে পড়ে। এখন শুধু একটাই অপেক্ষা—দর্শক ‘জয়িতা’র চোখে দেখতে পারেন কি না তানিয়া বৃষ্টির সেই লুকোনো কান্না!
আপনার মতামত লিখুন :