বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২৫, ০১:৩২ পিএম

মায়ের গুলিতে বাবার মৃত্যুর সাক্ষী শার্লিজ থেরন!

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২৫, ০১:৩২ পিএম

শার্লিজ থেরন। ছবি- সংগৃহীত

শার্লিজ থেরন। ছবি- সংগৃহীত

অস্কারজয়ী অভিনেত্রী শার্লিজ থেরনের আজ ৫০তম জন্মবার্ষিকী (৭ আগস্ট)। অভিনয়ে দ্যুতি ছড়ানো এই দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা শৈশব থেকেই চেয়েছিলেন নৃত্যশিল্পী হতে। কিন্তু জীবন তাকে নিয়ে গেছে এক ভিন্নপথে, যেখানে সাফল্যের পাশাপাশি ছিল ভয়াবহ ট্রমার স্মৃতি।

থেরনের শৈশব কেটেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। মাত্র ১৩ বছর বয়সে তাকে বোর্ডিং স্কুলে পাঠানো হয়। সেখানেই শিল্পকলার প্রতি আগ্রহ জন্মে। চেয়েছিলেন ব্যালে নৃত্য নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে। পরে মডেলিং শুরু করেন, বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে কাজ করেন। ইউরোপের বিভিন্ন শহরে ঘুরে শেষে যুক্তরাষ্ট্রে এসে থিতু হন।

এক সাক্ষাৎকারে থেরন জানান, মাত্র তিন দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন মডেলিংয়ের কাজ করতে। সেখানে বন্ধুর বাসায় পুরো একটি শীতকাল কাটিয়ে দেন। সেই সময় ছিল দারিদ্র্যে মোড়ানো; এমনকি একটি রেস্তোরাঁ থেকে রুটি চুরি করে খেতে হয়েছিল তাকে।

১৯৯৪ সালে তিনি মায়ের দেওয়া ৩০০ ডলার হাতে নিয়ে নিউইয়র্ক থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসে পাড়ি জমান। চেক ভাঙাতে গিয়ে এক ব্যাংকে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। সেখানেই এক আগন্তুক—জন ক্রসবি—তার হাতে একটি ব্যবসায়িক কার্ড তুলে দেন, যিনি পরবর্তীতে থেরনের অভিনয়জীবনের প্রথম দিককার গুরু হয়ে ওঠেন।

ক্রসবির সহায়তায় থেরন প্রথম অভিনয়ের সুযোগ পান ভৌতিক ঘরানার সিনেমা ‘Children of the Corn III: Urban Harvest’-এ। যদিও চরিত্রে কোনো সংলাপ ছিল না, তবে পরবর্তীতে ছোট ছোট চরিত্রে কাজ করে নিজেকে তৈরি করেন। এক বছরের মধ্যেই ‘Devil’s Advocate’ সিনেমায় আল পাচিনোর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেন। এরপর ‘Sweet November’, ‘The Italian Job’ এবং ‘Monster’—সহ একাধিক সফল সিনেমায় অভিনয় করেন। 

‘Monster’ সিনেমার জন্য ২০০৪ সালে সেরা অভিনেত্রীর অস্কার লাভ করেন।

কিন্তু এই গ্ল্যামারস সফলতার পেছনে আছে এক ভয়ানক ট্র্যাজেডি, যা আজও তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি নিজ চোখে দেখেছেন বাবার মৃত্যু। ঘটনাটি ঘটে ১৯৯১ সালের ২১ জুন, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে। 

মাতাল অবস্থায় বাবা বন্দুক হাতে বাসায় ফিরে মা ও মেয়েকে হুমকি দিতে থাকেন এবং গুলি ছোড়েন। আত্মরক্ষার্থে থেরনের মা পাল্টা গুলি ছুড়ে তাকে হত্যা করেন। আদালত এটিকে আত্মরক্ষামূলক গুলি হিসেবে বিবেচনা করে থেরনের মাকে বেকসুর খালাস দেন। যার প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন শার্লিজ। 

থেরনের ভাষ্যে, ‘সেই রাত আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। আমি সেদিন বুঝে যাই, নিজেকে রক্ষা করতে শেখা জীবনের প্রথম শর্ত।’

শার্লিজ থেরন আজ বিশ্বের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীদের একজন। তবে তার জীবন কেবল গ্ল্যামার নয়, বরং সাহস, সংগ্রাম ও পুনর্গঠনের এক জ্বলন্ত উদাহরণ।

Shera Lather
Link copied!