সমালোচনা, কৌতুক ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে একসময় ঢাকায় আলো ছড়ানো কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম এবার রাজধানীর ব্যস্ত জীবন ছেড়ে ফিরে এসেছেন শেকড়ের টানে। জীবনের নানা চড়াই-উৎরাই পার করে এবার তিনি স্থায়ীভাবে বসবাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিজ গ্রামের বাড়ি বগুড়ার এরুলিয়াতে। সঙ্গে আছেন তার স্ত্রী রিয়া মণি ও পরিবারের অন্য সদস্যরা।
হিরো আলম জানান, ‘গ্রামে সবকিছু ঠিক আছে। পরিবার নিয়ে তাই চলে এসেছি বগুড়ায় গ্রামের বাড়ি। এইখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করব। রিয়া মণি আমার পরিবার এবং সবার দায়িত্ব নিয়েছে। তাকে নিয়ে সুখে দুখে জীবনটা কাটাতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাড়িতে বাবা মারা যাওয়ার পর ছেলে মানুষ তো কেউ নাই। আমার যেহেতু দুইটা মা, তাদের দেখা-শোনা করতে লোক লাগবে। তা ছাড়া আমার সন্তান আছে, তাদের মানুষ করতে হবে। সেই কারণে বগুড়ায় চলে আসা। এখন এইখান থেকে সবকিছু করব। যদি প্রয়োজন হয় তবে ঢাকায় যাব, কিন্তু কাজ শেষে বগুড়ায় চলে আসব।’
২০১৬ সালের দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘হাস্যরসের’ ঝড় তুলে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। বগুড়ার ডিশ ব্যবসায়ী থেকে ঢাকার আলো ঝলমলে দুনিয়ায় পা রাখা এই ব্যক্তিত্ব নানা বিতর্ক, সমালোচনা আর সাফল্যের মধ্য দিয়ে নিজের একটি স্বতন্ত্র পরিচিতি গড়ে তুলেছেন। ইউটিউব, ফেসবুক, সিনেমা নির্মাণ এমনকি রাজনীতির ময়দানেও নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন তিনি।
তবে পেশাগত জীবনের চেয়েও ব্যক্তিজীবনের নানা ঘটনায় বারবার শিরোনামে এসেছেন তিনি। সর্বশেষ আলোচনায় ছিলেন তৃতীয় স্ত্রী রিয়া মণিকে তালাক দেওয়ার ঘোষণা এবং তা ঘিরে তৈরি হওয়া নাটকীয় পরিস্থিতি নিয়ে। স্ত্রীর পরকীয়ার অভিযোগ তুলে হিরো আলম নিজের ফেসবুক পেজে কিছু গোপন ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করলে সম্পর্ক আরও জটিল আকার ধারণ করে। একপর্যায়ে আত্মহত্যার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি, যদিও পরিবার ও সন্তানদের অনুরোধে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।
তবে সব জটিলতা পেরিয়ে আবারও একত্র হয়েছেন হিরো আলম ও রিয়া মণি। সম্পর্ক জোড়া লাগানোর পর এখন বগুড়াতেই তারা গড়েছেন নতুন করে সংসার। পরিবার থেকেও এসেছে সমর্থন।
বর্তমানে গ্রামের বাড়িতে থেকেই কনটেন্ট তৈরিসহ অন্যান্য কাজ চালিয়ে যেতে চান হিরো আলম। ঢাকায় প্রয়োজন হলে গেলেও তার স্থায়ী ঠিকানা এখন বগুড়ার এরুলিয়াই।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন