বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২৫, ০৩:৪১ পিএম

নৃত্যশিল্পী থেকে যেভাবে জেমসের জীবনসঙ্গী হয়ে উঠলেন নামিয়া

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২৫, ০৩:৪১ পিএম

নামিয়া আমিন ও জেমস। ছবি- সংগৃহীত

নামিয়া আমিন ও জেমস। ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জীবন্ত কিংবদন্তি ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস। নগরবাউল খ্যাত এই তারকার ব্যক্তিগত জীবন সবসময়ই সংগীতপ্রেমী ও সাধারণ মানুষের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু। সম্প্রতি তার জীবনে যুক্ত হয়েছে দুটি নতুন অধ্যায়—তৃতীয় বিয়ে এবং পুত্রসন্তানের আগমন। এই ঘটনাগুলো ইতোমধ্যেই দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

২০২৩ সালে জেমসের যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় লস অ্যাঞ্জেলেসে এক কনসার্টে নামিয়া আমিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে সেই পরিচয় গাঢ় হয় ঘনিষ্ঠতায়, এবং অবশেষে ২০২৪ সালের ১২ জুন তারা পরিণয়ে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর থেকেই তারা বসবাস করছেন জেমসের বনানীর বাসায়।

বিয়ের এক বছর পর, ২০২৫ সালের ৮ জুন নিউইয়র্কের হান্টিংটন হাসপাতালে নামিয়া জন্ম দেন তাদের প্রথম সন্তান জিবরান আনামকে। সুখবরটি ছড়িয়ে পড়তেই জেমসের ভক্তদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার ওঠে। ঘনিষ্ঠজনরা মনে করেন, এই সন্তান জেমসের জীবনে নতুন প্রেরণা ও দায়িত্বের সূচনা করবে।

নামিয়া আমিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে পরিচিত। তার বাবা-মা, নুরুল আমিন ও নাহিদ আমিন, দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। আমেরিকায় বেড়ে ওঠা নামিয়া ও বাংলাদেশের রকস্টার জেমসের সম্পর্ক শুরু হয়েছিল দূরদেশে, যা এখন পুত্রসন্তানের মাধ্যমে পূর্ণতা পেয়েছে।

এটি জেমসের তৃতীয় বিয়ে। এর আগে তিনি চিত্রনায়িকা রথি ও বেনজীর সাজ্জাদকে বিয়ে করেছিলেন। রথির ঘরে তার দুই সন্তান—দানিশ ও জান্নাত। আর বেনজীরের সঙ্গে তার কন্যা জাহান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে বসবাস করছে। ২০১৪ সালে বেনজীর যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হওয়ার পর দুইজন পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

গানই জেমসের প্রাণ, তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি ক্যামেরার লেন্সেও মুগ্ধতা খুঁজে পেয়েছেন। বিশ্বের নানা প্রান্তে কনসার্টে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি তিনি মডেল, নাগরিক জীবন ও প্রকৃতি নিয়ে ফটোগ্রাফিতে নিজেকে যুক্ত করেছেন। তার ঘনিষ্ঠজনরা বলেন, জেমস গিটারের মতোই দক্ষ ক্যামেরাতেও—একই সঙ্গে শিল্পী ও কবি।

নিজের নতুন জীবনের প্রসঙ্গে জেমস বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ কৃপায় ভালো আছি। যতদিন বাঁচি, যেন গান গেয়ে যেতে পারি। দোয়া চাই সবার কাছে।’

ভক্তদের উদ্দেশে তিনি আরও জানান, নতুন গান প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে, এবং সময়মতো একটির পর একটি গান প্রকাশ পাবে।

নামিয়া ও জিবরানকে ঘিরে জেমসের জীবনে এসেছে নতুন আলো। সংগীত, পরিবার ও সৃজনশীলতার এই মেলবন্ধন হয়তো আবারও উপহার দেবে সেই চেনা জেমসকে যিনি গিটার হাতে মানুষকে ভোলান জীবনের ক্লান্তি।

Link copied!