আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন করে আরও ৩৬টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর ও সদর) আসনে মনোনয়নের দৌড়ে ছিলেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। তবে গত মাসে ঘোষিত ২৩৭ আসনের তালিকায় তার নাম ছিল না। গতকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় ঘোষিত ৩৬ আসনের তালিকাতেও তার সিরাজগঞ্জ-১ আসনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সেলিম রেজার নাম।
গতকাল গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সিরাজগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।
মনোনয়নের তালিকায় নাম না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে কনকচাঁপা মনোনয়ন পেয়েছেন, এমন বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে গতকাল নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কনকচাঁপা একটি সংক্ষিপ্ত পোস্টে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ’। তিনি পোস্টে এর নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ না করলেও মনোনয়ন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমি তো মনোনয়ন পাইনি, আলহামদুলিল্লাহ, তবুও আমি খুশি।’
অন্যদিকে তার পোস্টে ইউসুফ নামের একজন মনোনয়ন পেয়েছেন কি না এ প্রসঙ্গে কমেন্ট করলে তিনি উত্তরে স্পষ্ট লিখেছেন, ‘না পাইনি। আমি আল্লাহর সব ফয়সালাতেই রাজি-খুশি।’
সংগীতের পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতিতেও বেশ সক্রিয় কনকচাঁপা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাকে আরও সরব দেখা যায়। দলীয় সূত্রে শোনা যাচ্ছিল, তিনি এবারও সিরাজগঞ্জ-১ আসনে দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি প্রথমবার বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে একই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ নাসিম। তবে দলীয় নেতাকর্মীদের বাধার অভিযোগে তিনি সে সময় এলাকায় প্রচারণা চালাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত এলাকায় ফিরতে না পেরে বগুড়ায় সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ উত্থাপন করেছিলেন তিনি।
বর্তমানে কনকচাঁপা সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন (জাসাস)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
