কারিশমা কাপুরের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বলিউডে যতটা আলোচনা, তার চেয়েও বেশি গুঞ্জন ছিল তার ডিভোর্স নিয়ে। সঞ্জয় কাপুরের সঙ্গে সেই টানাপোড়েনের সময়ে চোখে জল আর ঠোঁটে নীরবতা নিয়ে সবকিছু সামাল দিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু কারিশমার একক যাত্রাপথে যিনি অদৃশ্য ছায়ার মতো সঙ্গ দিয়েছিলেন তিনি আর কেউ নন, তারই ছোট বোন কারিনা কাপুর খান।
তখন চারদিকে মুখর ছিল ভাঙনের কানাঘুষো। পারিবারিক অশান্তি, আইনি লড়াই, আর সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ—সব মিলিয়ে কাপুর পরিবার পড়েছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
অনেকেই ভাবছিলেন, কারিনা হয়তো সামনে এসে কিছু বলবেন, হয়তো সুর চড়াবেন বা নিজের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরবেন। কিন্তু বাস্তবটা ছিল উল্টো। কারিশমার সেই দুঃসময়ে কারিনা ছিলেন একেবারে নিঃশব্দ, কিন্তু সেই নিঃশব্দতার মাঝেই ছিল অকুণ্ঠ সমর্থনের জোর।
একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কারিনা স্পষ্টভাবে বলেন, ‘এটা সত্যিই খুব ব্যক্তিগত বিষয়। বিষয়টা নিয়ে আমি বা কারিশমা কোনো কথাই বলতে চাইনি। বোনের পাশে আমি কীভাবে থাকব সেটা নিয়ে কারও ভাবারই কথা নয়।’
কারিনার এই কথায় শুধু নির্লিপ্ততা ছিল না, ছিল বোনের প্রতি এক নির্মল সংহতি। তিনি আরও বলেন, ‘কারিশমা একজন সেলিব্রিটি। তাকে নিয়ে মানুষ ভাববেন, আলোচনাও হবে, এটাই স্বাভাবিক। আমরা সেই বিষয়টিকে সম্মান করি। তবে যারা এত কিছু বলেন, তারা কিন্তু আসল সত্যিটা জানেন না একেবারেই।’
তখন অবশ্য কাপুর পরিবারের পক্ষ থেকে একমাত্র মুখ খুলেছিলেন তাদের বাবা রণধীর কাপুর। মেয়ের বিচ্ছেদ নিয়ে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতির জন্য যা করণীয় সেটাই করা হয়েছে।’
কিন্তু কারিনা ঠিক করেছিলেন, মিডিয়ার প্রশ্নবাণে নয়, তিনি থাকবেন বোনের পাশে—নিঃশব্দে, দৃঢ়ভাবে, ঠিক যেমন একজন ‘রিয়েল লাইফ হিরোইন’ হয়ে থাকা উচিত।
এই ডিভোর্স আর তা ঘিরে তৈরি হওয়া বলিউডের কৌতূহলী আকাশে কারিনার নিঃশব্দ উপস্থিতিই যেন সব কথার চেয়েও বেশি কিছু বলেছিল।
আপনার মতামত লিখুন :