এক হাতে সন্তান, আরেক হাতে ব্যবসা-সিনেমা-স্টুডিও। এভাবেই যেন নিজের মা হবার গল্পটা লিখছেন পরীমণি। অভিনয় থেকে ব্যবসা, আর তার ফাঁকে ছেলে রাজ্য-র যত্ন-সবকিছুতেই দাপুটে উপস্থিতি তার। কিন্তু পর্দার এই দৃঢ়চেতা নায়িকা পর্দার বাইরে অত্যন্ত রক্ষণশীল, বিশেষ করে তার সন্তানের ক্ষেত্রে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মাতৃত্বের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে পরীমণি বলেন, ‘অনেকেই জানেন আমি আমার বাচ্চাদের কোন ডিজিটাল গ্যাজেট দেইনি কখনো। বিশেষ করে মোবাইল ফোন!’
এরপরই তিনি খোলামেলা জানান, ছেলের জন্য নির্দিষ্ট সময় ছাড়া টিভি পর্যন্ত অন করতে দেন না। আর কি দেখবে, সেটাও বেছে দেন মা নিজেই।
কিন্তু বিপত্তি বাঁধে একটা নিরীহ কার্টুন দেখে। নাম ‘বুবা’। পরীর কাজিন মিম এই কার্টুনটি প্রথম দেখান তার ছেলেকে।
বিষয়টি শুরুতে হালকাভাবে নিলেও আস্তে আস্তে পরীমণি বুঝতে পারেন, ছেলের কিছু আচরণ বদলে যাচ্ছে- চোখের সামনে গজিয়ে উঠছে কিছু অচেনা প্রতিক্রিয়া।
‘হটাৎ কোন কিছু ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া বা কথা না বলে শুধু শব্দ করে কমিউনিকেশন করা অভ্যাস আমার ছেলের কখনোই ছিলো না’- এই অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি বুঝলেন, ‘বুবা’ কার্টুন আসলে তার ছেলের বয়স উপযোগী নয়।
তাই তিনি দুই সপ্তাহ ধরে ধৈর্য ধরে ছেলেকে বোঝাতে শুরু করেন- ‘বুবা তোমার জন্য ভালো নয়’। ফলও পেয়ে যান দ্রুতই। পরীমণি জানান, ‘এখন তার সামনে বুবা আসলেও সে স্কিপ করতে বলে। আমি খুশি।’
এই অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়েই পরীমণি মনে করিয়ে দেন, আজকাল অনেক বাচ্চাই দেরি করে কথা বলে। এর পেছনে মোবাইল ফোনের অসতর্ক ব্যবহারই যে অন্যতম কারণ, সেটা তিনি জোর দিয়ে বলেন।
অভিনয়, ব্যবসা, ব্যক্তিগত জীবন-সব সামলে যিনি সন্তান মানুষ করার কাজটাকেও ঠিক ততটাই গুরুত্ব দেন, তার নাম পরীমণি। তার নিজের মতো করে গড়া এই ‘নো-মোবাইল প্যারেন্টিং’ এখন হয়তো অন্য মায়েদের জন্যও একটা অনুপ্রেরণার গল্প হয়ে থাকবে।
