যশোরের শার্শায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় আওয়ামী লীগের ১১ জন নেতাকর্মী আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। সোমবার (৭ জুলাই) তারা যশোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলমের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানান।
আদালত শারীরিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কাজিরবেড় গ্রামের সাইফুল ইসলামের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে অপর ১০ আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) নুর আলম পান্নু।
আত্মসমর্পণকারী নেতাকর্মীরা হলেন- শার্শা উপজেলার কাজিরবেড় মের আব্দুল আজিজের ছেলে কালাম হোসেন, দক্ষিণ বুরুজবাগান গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ইয়ানুর রহমান ও আব্দুল মতিন, একই গ্রামের আরাফাতের ছেলে শাহীন মেম্বার, জাফর, মৃত আফসারের ছেলে আইজুল, মহসিনের ছেলে স্বপন, সুবর্ণখালী গ্রামের আইজেল মোড়লের ছেলে শামসুর রহমান, কাজিরবেড় গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম এবং উত্তর বুরুজবাগান গ্রামের মৃত আব্দুল অহেদের ছেলে মুরাদ হোসেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর রাত ১০টার পর নাভারন বুরুজবাগান ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে ১৬ ডিসেম্বরের প্রস্তুতি হিসেবে আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতাকর্মী একত্রিত হন। সে সময় তারা নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দিলে তাদের লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এ ঘটনায় সাকিব নামের এক ব্যক্তিকে স্থানীয়রা আটক করেন।
পরদিন দক্ষিণ বুরুজবাগান গ্রামের সাজেদুর রহমান সাজু বাদী হয়ে শার্শা থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য এবং নাশকতা আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৯৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩০–৪০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার আসামিদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিনের নামও রয়েছে।
আত্মসমর্পণকারী ১১ জনই ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর তারা আদালতের শরণাপন্ন হন।
আপনার মতামত লিখুন :