গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেলের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন নোবেলের সাবেক স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। নোবেলকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই আলোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক মাধ্যমে।
অভিযোগকারী তরুণী এজাহারে উল্লেখ করেন, নোবেল তাকে ৭ মাস ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন, মোবাইল ভেঙে ফেলেন এবং সেই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখেন। যদিও সেই অভিযোগ ঘিরে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন সালসাবিল ও অনেক নেটিজেন।
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নোবেলের সঙ্গে পরিচয় হয় এক তরুণীর। তখন তিনি ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
একসময় নোবেল তাকে নিজের স্টুডিও দেখানোর কথা বলে ডেমরা এলাকায় নিজের বাসায় নিয়ে যান এবং পরে সেখানে আটক করে রাখেন। এমনকি অভিযোগ আছে, নোবেল ছাড়াও আরও দুই-তিনজন অভিযুক্ত ছিলেন এই ঘটনায়।
তবে এই দীর্ঘ আটকে রাখার বিষয়টিকে ঘিরেই শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে নোবেল ও সেই তরুণীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একাধিক ছবি।
দুজনকে হাসিমুখে, একসঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভঙ্গিতে এবং এমনকি একই টি-শার্টে দেখা গেছে। এসব ছবি ঘিরেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই- ‘যে মানুষ সাত মাস আটকে থাকে, সে কি এভাবে পোজ দিতে পারে?’
নোবেলের সাবেক স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘কেউ যদি মনে করে, এই মোবাইল ও প্রযুক্তির যুগে কাউকে সাত মাস ধরে জোরপূর্বক আটকে রাখা বা এমন অপরাধ সংঘটিত করা সম্ভব- তাহলে সেটি বাস্তবতাবিরুদ্ধ ও সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর ও হাস্যকর একটি ধারণা।’
নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ডেমরা থানার ওসি মাহমুদুর রহমান। আদালতের নির্দেশে নোবেল বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
তবে সামাজিক মাধ্যমে ভেসে বেড়ানো ছবি ও স্ত্রীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ৭ মাস আটকে রাখার অভিযোগ নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন, সন্দেহ আর বিতর্কের ঘূর্ণিপাক।
এ মামলায় সত্যতা প্রমাণের দায়িত্ব এখন পুলিশের তদন্ত এবং আদালতের ওপর। তবে তার আগেই ‘সামাজিক মাধ্যমের আদালতে’ চলছে আলোচনা, সমালোচনা আর চরিত্র বিশ্লেষণের হিড়িক।