কোরিয়া সফর শেষে আবেগঘন এক স্ট্যাটাসে সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর জানালেন, ইনছনের আতিথেয়তা আর ভালোবাসায় তিনি এতটাই মুগ্ধ হয়েছেন যে, মনে হয়েছে নিজ শহর কুমিল্লাতেই আছেন।
চার দিনের সফরে আয়োজকদের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক গড়ে ওঠার কথা জানিয়ে আসিফ লিখেছেন, ‘প্রত্যেকটা বিদেশ সফরে গিয়ে একটা করে মায়ার জন্ম হয়… যথারীতি বিদায়বেলায় মন খারাপ হয়, দেশে আসার পর মিস করা শুরু করি।’
এ সফরের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন ইনছন বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রধান শামীম ইসলাম। টাঙ্গাইলের এই প্রবাসী ব্যবসায়ীর ভূয়সী প্রশংসা করে আসিফ বলেন, ‘বাংলাদেশি প্রবাসীরা শামীম ইসলামকে নিজেদের জন্য আশীর্বাদ মনে করে।’
পাশাপাশি তার মানবিক দিকের প্রশংসা করে আসিফ লেখেন, ‘মৃত্যুর পর লাশ দেশে পাঠানোর মতো একটা জটিল এবং ব্যয়বহুল প্রসেস তিনি বেশ ভালোভাবে সম্পন্ন করেন।’
বিদেশ সফরে তিনি দাওয়াত ও ঘোরাঘুরি বর্জন করেন বলেও জানান আসিফ। কনসার্টের প্রস্তুতির জন্য ঘুমের সময় ঠিক রাখা ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলাকে নিজের নিয়ম বলেও উল্লেখ করেন।
তবু ইনছনে সফরকালীন সময় যেন তার কাছে ঘরের মতোই অনুভূত হয়েছে। ‘মনে হয়েছে কুমিল্লায়ই আছি’- লেখেন তিনি।
ইনছনের গ্র্যান্ড পার্কে ওপেন এয়ার কনসার্টের আয়োজন নিয়ে আসিফ বলেন, ‘অনেক ব্যয়বহুল আয়োজন, তবু শামীম ইসলাম যেভাবে সেটা বাস্তবায়ন করেছেন, তা প্রশংসার যোগ্য।’
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে কোরিয়ায় এ ধরনের সাংস্কৃতিক আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তওফিক ইসলাম শাতিল এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি।
