সুন্দর জীবনে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য ব্যায়ামের বিকল্প নাই ।ব্যায়ামেরই একটি অংশ মেডিটেশন।
মেডিটেশনের মাধ্যমে আমাদের মস্তিষ্ক অপ্রয়োজনীয় সবকিছু থেকে নিজেকে আলাদা করে নির্দিষ্ট বিষয়ে নিমগ্ন হয় এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতাকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ও নিখুঁতভাবে ব্যবহার করতে শেখে।
মস্তিষ্কের মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে মেডিটেশন।
নিয়মিত মেডিটেশন করার ফলে স্মৃতিশক্তি, চিন্তাশক্তি ও নতুন কিছু শেখার ক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়।
অনেকেই নানা কারণে মানসিক চাপ ও ক্লান্তি বোধ করে। মানসিক অবসাদ দূর করতেও মেডিটেশনের গুরুত্ব অসীম। সকালবেলা কিছুক্ষণ মেডিটেট করতে পারলে সারাদিন মস্তিষ্ক সতেজ অনুভব করে। কর্মব্যস্ততা,পড়াশোনার চাপ, পারিবারিক চাপ ইত্যাদির কারণে সৃষ্ট ধকল ধীরে ধীরে মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। মেডিটেশনের ফলে ভয়, উদ্বেগ ও ধকল হ্রাস পায়। এ ছাড়াও মেডিটেশন মস্তিষ্কের আলফা ওয়েভ নিঃসরণ বৃদ্ধি করে, যা দুশ্চিন্তা, দুঃখ ও রাগের মতো অনুভূতিগুলো কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।
মেডিটেশন যেকোনো বিষয়ে চিন্তাশক্তিকে কেন্দ্রীভূত করতে সাহায্য করে। যার ফলে যেকোনো একটি বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে পড়ার সময় অন্য সব চিন্তা মস্তিষ্ক থেকে দূরে থাকে।
বৈজ্ঞানিকরা প্রমাণ করেছেন, মাত্র ৩ মাস মেডিটেশনের মাধ্যমে উচ্চ-রক্তচাপের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। নিয়মিত মেডিটেশন ক্লান্তি ও অবসন্নতা দূর করে, ফলে পুরো উদ্যমে পড়াশোনা ও অন্যান্য কাজ করা সম্ভব হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত মেডিটেশনের মাধ্যমে দেহে অ্যান্টিবডি অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
অনেক অভ্যাস আছে যেগুলো ক্ষতিকর জেনেও সহজে ত্যাগ করা সম্ভব হয় না। এর কারণ যথেষ্ট ইচ্ছাশক্তি ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাব। মেডিটেশনের ফলে আত্মনিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পায় এবং বাজে অভ্যাসগুলো সহজেই ত্যাগ করা সম্ভব হয়।
সুন্দর জীবনের মূলমন্ত্র শারীরিক সুস্থতা। মেডিটেশন মানসিকভাবে সুস্থ রাখার পাশাপাশি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতেও সাহায্য করে।
বিষণ্ণতায় আক্রান্ত মানুষের ক্ষেত্রে মেডিটেশন অনেকটা এন্টি ডিপ্রেসনের ওষুধ বলা চলে।
নিয়মিত মেডিটেশনের মাধ্যমে অনিদ্রার/নিদ্রাহীনতার সমস্যা মেটানো সম্ভব। মেডিটেশন স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে আমাদের শরীর শান্ত হয়, শিথিল হয়। তার ফলে ভালো ঘুম হয়। শরীরের ক্লান্তি দূর হয় এবং বিশ্রাম পাওয়া যায়।