বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বৃহস্পতিবার (২৯ মে) নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে।
এতে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাব যুক্ত হয়ে দেশের ৫ বিভাগে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ফলে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১১ জেলায় স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এমনটাই আশঙ্কা করছে।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র বলছে, শুক্রবার (৩০ মে) পর্যন্ত ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় দেশের উত্তরে রংপুর, নীলফামারি, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফেনী জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
শুক্রবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী ও ফেনী ইত্যাদি নদীর পানি বাড়তে পারে। এ সময় মুহুরী নদীর পানি কিছু পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে ফেনী জেলার মুহুরী নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির ঝুঁকি রয়েছে।
পানি বেড়ে রংপুর বিভাগে তিস্তা নদীও কিছু পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে তিস্তাসংলগ্ন রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
অন্যদিকে, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, মনু, খোয়াই ও সোমেশ্বরী নদীর পানি কিছু পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
এতে এসব নদীসংলগ্ন সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
এ ছাড়া আগামী দুদিন পর্যন্ত বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জোয়ার হতে পারে বলেও বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে।