২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে শাহবাগ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বিচার দাবি করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বুধবার (২৮ মে) এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘শাপলা চত্বরে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের ওপর যে নৃশংসতা চালানো হয়েছিল, তার পেছনে রাষ্ট্রীয় সমর্থন ছিল। সেই ঘটনায় যাঁরা সমর্থন দিয়েছে, তারা দেশের সার্বভৌমত্ব ও ন্যায়বিচারবিরোধী চক্রের অংশ। তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
মাওলানা আজিজুল হক তার বিবৃতিতে ২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলনকে ‘ভারতপন্থি ও ইসলামবিদ্বেষী ফ্যাসিবাদী শক্তি’ বলে আখ্যা দেন।
তিনি দাবি করেন, ‘ওই আন্দোলনের আড়ালে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে আঘাত করা হয় এবং হেফাজতের সমাবেশে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দমন-পীড়ন চালানো হয়।’
তাঁর ভাষায়, ‘শাপলা চত্বরে রাসুলপ্রেমিক তৌহিদি জনতার ওপর নির্মমতা চালিয়ে ইসলামবিরোধী শক্তি নিজেদের মুখোশ খুলে দিয়েছে।’
হেফাজতের এই নেতা আরও বলেন, ‘২০১৩ সালের শাহবাগ চক্রান্তের বিরুদ্ধে জনগণের জাগরণ ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। সেখানে ৮০ জনের বেশি মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষক শাহাদতবরণ করেন এবং শেখ হাসিনার সরকার উৎখাত হয়। এই আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার হয়েছে।’
একই সঙ্গে তিনি দেশের এক শীর্ষ রাজনৈতিক নেতার সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ‘আলেমদের ‘মৌলবাদী’ বলা ভারতের পুরাতন বয়ান। আমরা তার বক্তব্যে উদ্বিগ্ন। এমন বক্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।’
বিবৃতিতে সচিবালয়ে চলমান অস্থিরতা বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।