ঢাকা শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫

স্বামীর রাগ কমানোর উপায়

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৫, ০২:৩৮ পিএম
স্বামীর রাগ কমানোর উপায়। ছবি: সংগৃহীত

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বিশ্বাস, বোঝাপড়া ও পারস্পরিক সম্মান দিয়ে গঠিত হয়। তবে অনেক সময় স্বামীদের মধ্যে কাজের চাপ, পারিবারিক টানাপোড়েন বা ব্যক্তিগত হতাশা থেকে রাগের বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়। এ সময় স্ত্রী হিসেবে আপনি কিছু সহজ ও কার্যকর কৌশল ব্যবহার করে তার রাগ প্রশমিত করতে পারেন এবং সম্পর্কের বন্ধনকে আরও মজবুত করতে পারেন।

শান্ত থাকুন ও উত্তরে রাগ না দেখান

স্বামী রেগে গেলে আপনি শান্ত থাকুন। দুজনেই রেগে গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। আপনি ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবিলা করলে তিনি ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে যাবেন।

কথা শোনার মনোভাব দেখান

স্বামী রাগ করলে তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। কখনো কখনো মানুষ শুধু চায়, তার কষ্ট বা বিরক্তির কথা কেউ শুনুক সেটাই তার রাগ কমানোর একমাত্র পথ হতে পারে।

সময় দিন এবং একটু দূরত্ব তৈরি করুন

রাগের মুহূর্তে অনেকে একা থাকতে চায়। আপনি তাকে কিছু সময় নিজের মতো থাকতে দিন। পরে যখন পরিস্থিতি ঠান্ডা হবে, তখন আবার স্বাভাবিকভাবে কথা বলুন।

ভালোভাবে কথা বলুন ও বোঝান

তিনি শান্ত হলে নম্রভাবে বোঝান যে আপনি তার পাশে আছেন এবং আপনি সমস্যার সমাধান চান। অভিযোগ নয়, ভালোবাসা ও বোঝাপড়ার সুরেই কথা বলুন।

ছোট ছোট খেয়াল রাখুন

রাগ কমাতে ভালোবাসার ছোট ছোট কাজ যেমন প্রিয় খাবার রান্না করা, প্রিয় কিছু উপহার দেওয়া বা পছন্দের গান চালিয়ে দেওয়া দারুণভাবে কাজ করতে পারে।

প্রশংসা ও স্বীকৃতি দিন

পুরুষেরা চায় তার পরিশ্রম, দায়িত্ববোধ ও অবদানের প্রশংসা হোক। মাঝেমধ্যে স্বামীর প্রশংসা করলে তার মন অনেকটাই নরম হয়ে যায় এবং রাগ কমে।

ঝগড়া নয়, বোঝাপড়ায় গুরুত্ব দিন

কোনো বিষয়ে দ্বিমত হলে তা ঝগড়ার দিকে না নিয়ে বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করুন। প্রতিযোগিতা নয়, সহযোগিতাই ভালো দাম্পত্যের মূলমন্ত্র।

দোয়া ও মানসিক প্রশান্তির জন্য ধর্মীয় অনুশীলন

যদি আপনি ধর্মপ্রাণ হন, স্বামীর জন্য নিয়মিত দোয়া করুন। আপনি নিজেও মানসিক শান্তির জন্য নামাজ, প্রার্থনা বা ধ্যান করুন এটি আপনাকে ভিতর থেকে শক্তি দেবে।

স্বামীর রাগ কোনো মানসিক অসুস্থতা নয় বরং একটি আবেগ, যা সঠিকভাবে পরিচালনা করা গেলে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়। ধৈর্য, ভালোবাসা ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে আপনি স্বামীর রাগ প্রশমনে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন। সব সময় মনে রাখবেন, সম্পর্ক রক্ষায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে “শ্রবণ ও সহনশীলতা”।