পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বৃহস্পতিবার তীব্র নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিজেপির চিফ হুইপ শংকর ঘোষকে সাসপেন্ড করার পরও তিনি কক্ষ ত্যাগ না করায় মার্শালদের মাধ্যমে তাকে বাইরে বের করে দেওয়া হয়। সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাংলাভাষী অভিবাসীদের উপর ‘নির্যাতন’ প্রসঙ্গে আনা সরকারি প্রস্তাবের আলোচনায় অশান্তি সৃষ্টি করার দায়ে শংকর ঘোষকে সাসপেন্ড করা হলো।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য দেওয়ার প্রস্তুতি নিলে বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দিতে শুরু করেন। গোলযোগ বাড়তে থাকলে কয়েকজন বিজেপি বিধায়ককে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন শংকর ঘোষ ও অগ্নিমিত্রা পাল।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, কক্ষ থেকে টেনে বের করে দেওয়ার পর শংকর ঘোষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় সহকর্মী বিধায়কেরা তাকে সহায়তা করেন এবং পরে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বিজেপি বিধায়কেরা জানতে চাইছিলেন কেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ২ সেপ্টেম্বর সাসপেন্ড করা হয়েছিল। সেই প্রতিবাদে শংকর ঘোষও যোগ দেন, যা শেষ পর্যন্ত তাকে সাসপেন্ড করার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ঘোষ কক্ষ ছাড়তে অস্বীকার করলে মার্শালরা তাকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যায়।
অবস্থার অবনতিতে সরকার পক্ষ ও বিরোধী পক্ষ দুদিক থেকেই স্লোগান শুরু হয়, এবং একাধিকবার অধিবেশন মুলতবি করতে হয়। সংঘর্ষ এড়াতে মার্শালরা দুপক্ষের মাঝে অবস্থান নেয়।
পরে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকেও সাসপেন্ড করা হয়। স্পিকার নির্দেশ দেন, নারী মার্শালদের মাধ্যমে তাকে বাইরে নেওয়া হোক।
বিজেপি বিধায়কেরা অভিযোগ করেন, গোলযোগ চলাকালে সরকার পক্ষের আসন থেকে তাদের দিকে পানির বোতল ছোড়া হয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিধায়কদের আচরণকে ‘সংসদ পরিপন্থি’ বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি অভিযোগ করেন, তারা গুরুতর একটি আলোচনাকে ভণ্ডুল করার চেষ্টা করেছেন, যা বাংলাভাষী অভিবাসীদের অধিকার ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত।