ঢাকা সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

কম্বোডিয়ায় এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিয়ে আঘাত হেনেছে থাইল্যান্ড

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৫, ০৩:৩১ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ গ্রাফিক্স

থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে। কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে থাই সামরিক ও বেসামরিক এলাকায় বোমা হামলার প্রতিশোধ হিসেবে থাই বিমানবাহিনী আজ সকালে কম্বোডিয়ার একটি ক্যাসিনো ও কেবল কার স্থাপনায় এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের আঘাত হানে।

থাই সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল উইনথাই সুভারি জানান, উবোন রাতচাথানির নাম ইউয়েন জেলার চং আন মা সীমান্ত পাসের কাছে অবস্থিত ক্যাসিনোটি কম্বোডিয়ান বাহিনী ভারী অস্ত্র- বিশেষ করে ড্রোন-সংরক্ষণের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছিল। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই সেখানে বিমান হামলা চালানো হয়।

অন্যদিকে সুরিনের ফানোম ডং রাক জেলার প্রসাত তা খোয়াই প্রাচীন ধ্বংসাবশেষের পশ্চিমে নির্মিত কেবল কারটি সকাল ৯টা ২০ মিনিটে পরিচালিত একটি আকাশ হামলায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে। থাই সামরিক বাহিনী জানায়, কেবল কারটি মাউন্ট ৩৫০–এ অবস্থানরত কম্বোডিয়ান সেনাদের খাদ্য, অস্ত্র ও অন্যান্য রসদ সরবরাহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

মাউন্ট ৩৫০ কম্বোডিয়ান সেনাবাহিনীর একটি কৌশলগত অবস্থান, যেখান থেকে তারা প্রসাত তা খোয়াই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে। পাহাড়ের এই অবস্থান শক্তিশালী করার কারণেই থাই বাহিনী কেবল কারটিকে লক্ষ্যবস্তু করে বলে জানা যায়।

এদিকে ‘আর্মি মিলিটারি ফোর্স’ নামে একটি ওয়েব পেজে প্রকাশিত ভিডিওতে এক কম্বোডিয়ান সৈন্য অভিযোগ করেন, থাই বিমান হামলায় সীমান্তের কাছে অবস্থিত ক্যাসিনোটি ধ্বংস হয়েছে। তবে থাই সেনাবাহিনী দাবি করেছেন, ক্যাসিনোটি ছিল অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুত রাখার কেন্দ্র, যা থাইল্যান্ডে হামলার প্রস্তুতির জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল।

ক্রমশ উত্তেজনা বাড়তে থাকায় থাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় সুরিন, সি সা কেট, উবোন রাতচাথানি, বুরি রাম ও সা কায়েও প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত মোট ৬৪১টি স্কুল সাময়িকভাবে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। এর মধ্যে সুরিনে ১৪৫, সি সা কে­টে ১৭০, উবোন রাতচাথানিতে ৫৪, বুরি রামে ১২৭ এবং সা কায়েওতে ১৪৭টি স্কুল রয়েছে।

সা কায়েও প্রদেশে এখনো পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও সীমান্ত উত্তেজনা পূর্বাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তা ফ্রেয়া, আরণ্যপ্রথেত, খোক সুং ও ক্লং হাট জেলার সীমান্তসংলগ্ন এলাকাগুলোর লোকজনকে আজ সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করা চান্থাবুরি ও ত্রাত প্রদেশে এখনো কোনো সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ জারি হয়নি।