বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দীর্ঘদিনের তৃণমূলভিত্তিক জনপ্রিয় নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিমের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি তীব্র হচ্ছে।
দলের অঙ্গ-সংগঠনের বহু নেতাকর্মী মনে করেন, বরগুনায় বিএনপিকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করে তোলার ক্ষেত্রে তার অবদান অনস্বীকার্য। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনপ্রিয় এই নেতাকে দলে ফেরানো হলে এলাকায় বিএনপির প্রার্থী জয়ের সম্ভাবনা আরও সুদৃঢ় হবে।
তৃণমূল নেতাদের ভাষ্য, রাজনৈতিক দুঃসময় থেকে আন্দোলন সবক্ষেত্রেই সাহসী নেতৃত্ব দিয়েছেন অ্যাডভোকেট হালিম। বরগুনা সদরে বিএনপির সভাপতি থাকাকালে তিনি তৃণমূল পর্যায়ে হাজারো নেতাকর্মী গড়ে তুলেছেন। বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের কঠোর অবস্থান উপেক্ষা করে রাজপথে আন্দোলন করেছেন, ঢাকায় আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের হামলার শিকার হয়েছেন এবং গ্রেপ্তার হয়ে জেলও খেটেছেন। বরগুনায় অসংখ্য মামলার প্রধান আসামি হয়ে বহুবার কারাভোগ করেও দলত্যাগ বা আপস করেননি তিনি।
দলীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বরগুনা জেলা বিএনপির কমিটি না থাকায় যখন তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন বাড়ছিল, তখন সাধারণ মানুষের অনুরোধে তিনি ২০২৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ সিদ্ধান্ত দলীয় নীতির পরিপন্থি হওয়ায় তার সব পদ স্থগিত করে প্রাথমিক সদস্য পদ বাতিল করা হয়। তবে তৃণমূলের দাবি, তার প্রেক্ষাপট ছিল দলকে রক্ষা করা, দলবিরোধী সিদ্ধান্ত নয়।
পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির সদ্য সাবেক আহ্বায়ক চৌধুরী মো. ফারুক বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামে অ্যাডভোকেট হালিমের অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে দলের জন্য তার মতো সাহসী নেতার প্রয়োজন। দল তাঁকে ফিরিয়ে আনলে সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে।
বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তালিমুল ইসলাম পলাশ বলেন, নির্বাচনের আগে সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে এবং দলীয় প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে অ্যাডভোকেট হালিমের সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম বলেন, জেল-জুলুম, হামলা-মামলা মোকাবিলা করেও কখনো দল থেকে সরে যাইনি। তৃণমূলে গিয়ে কাজ করেছি, আন্দোলনেও সামনে ছিলাম। দলের সিদ্ধান্তে নির্বাচন করেছি, আবার পরিস্থিতির চাপে স্থানীয় নির্বাচনেও অংশ নিতে হয়েছে। আমার সদস্য পদ ফেরতের জন্য আবেদন করেছি। দলের প্রতি আমার ত্যাগ ও আনুগত্য বিবেচনায় সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশাবাদী।


