সকালের নাস্তা দিনের শুরুতে আপনার শরীরকে শক্তি দেবে এবং মেটাবলিজমকে ত্বরান্বিত করবে। তবে সেই নাস্তা আপনাকে বেছে নিতে হবে সঠিকভাবে। বিশেষ করে যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাদের সকালের নাস্তা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই নাস্তা যদি হয় ভুল তবে দিনের পুরোটা সময় অতিরিক্ত ক্ষুধা এবং ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। এ কারণে নিচে পাঁচটি স্বাস্থ্যকর এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এমন ৫ নাস্তার তালিকা তুলে ধরে হলো-
ওটমিল: ওটমিল হলো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যা দীর্ঘ সময় ভরা অনুভূতি দেয়। এটি রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়। একইসঙ্গে কিছু বাদাম বা তাজা ফল যোগ করলে এটি আরও পুষ্টিকর হবে।
দই ও ফল: প্রাকৃতিক দই প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ যা হজমে সাহায্য করে। তাজা ফল যেমন বেরি বা আপেল দিয়ে দই খেলে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এবং শরীরকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজও দেয়।
বাদাম ও বীজ: বাদাম, তিল, চিয়া বীজ বা ফ্ল্যাক্সসিডের মতো খাবার হেলদি ফ্যাট এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। এই ধরনের নাশতা দীর্ঘ সময়ের জন্য শক্তি জোগায় এবং অপ্রয়োজনীয় ক্ষুধা কমায়।
স্যান্ডউইচ বা রুটি হোল গ্রেইন: হোল গ্রেইন ব্রেড বা রুটি হেলদি কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ এবং ফাইবারের উৎস। এতে শরীরে ধীরে কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ হয়, যা রক্তে সুগারের লেভেল স্থিতিশীল রাখে।
উফো বা ডিম: প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিম সকালের নাশতার জন্য আদর্শ। সেদ্ধ, ওমলেট বা হালকা ফ্রাই করে খাওয়া যায়। ডিম দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ক্ষুধা কমায় এবং পেশী গঠনে সহায়ক।
সকালের নাস্তা ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওটমিল, দই ও ফল, বাদাম, হোল গ্রেইন রুটি এবং ডিম খেলে আপনি শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন না বরং শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও শক্তিও দিতে পারবেন। নিয়মিত এবং সঠিক নাস্তার অভ্যাস ওজন কমানো এবং সুস্থ জীবনধারার জন্য অপরিহার্য।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন