প্রেমের সম্পর্ক যদি গড়ে ওঠে বিশ্বাসের ভিত্তিতে, তবে তাকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন পারস্পরিক বন্ধুত্ব। বন্ধুত্বহীন সম্পর্কে একসময় নির্জীবতা আসে। তাই প্রেমকে দীর্ঘমেয়াদি করতে হলে সঙ্গীর প্রেমিক/প্রেমিকা হওয়ার পাশাপাশি বন্ধুও হয়ে উঠতে হয়।
তবে প্রশ্ন হলো—কীভাবে? আপনি কি সঙ্গীর সঙ্গে সব কিছু আলোচনা করতে পারেন? খিদে পেলে নির্দ্বিধায় বলেন? সিনেমা, রাজনীতি বা খেলাধুলা নিয়ে তর্ক করেন? যদি এসব প্রশ্নের উত্তর না হয়, তবে হয়তো সম্পর্কের গভীরে এখনো বন্ধুত্ব জন্মায়নি। আর সেটাই দীর্ঘমেয়াদে হতে পারে সংকটের কারণ।
কীভাবে প্রেমে বন্ধুত্ব গড়বেন
আলোচনার পরিসর বাড়ান
শুধু প্রেম বা দৈনন্দিন রুটিন নয়, বরং অফিসের জটিলতা, বন্ধুদের সঙ্গে মতবিরোধ, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিত, এমনকি পূর্ব প্রেমের অভিজ্ঞতা—সবকিছু নিয়েই খোলাখুলি আলোচনা করুন। যত বেশি নিজেদের চিন্তা ও অনুভূতি ভাগাভাগি করবেন, ততটাই বিশ্বাস ও বোঝাপড়া তৈরি হবে।
সমান দায়িত্ব নিন
সম্পর্কে ভারসাম্য থাকা জরুরি। গৃহস্থালি হোক বা মানসিক সাপোর্ট—সব দায়িত্ব একপাক্ষিক হলে অশান্তি আসবেই। কাজ ভাগ করে নিলে যেমন বোঝাপড়া বাড়ে, তেমনি কমে ভুল বোঝাবুঝি। ছোটখাটো ব্যাপারে অভিযোগের জায়গাও তৈরি হয় না।
গল্প করুন প্রতিদিন
দু’জনে সময় বের করে রোজ কিছুক্ষণ মন খুলে গল্প করুন। নিয়মিত এই অভ্যাস আপনাদের আরও কাছাকাছি আনবে। একে অপরকে বন্ধুদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন। সঙ্গীর বন্ধুবৃত্তে আপনি জায়গা পেলে সম্পর্কের গতিপথও হবে আরও সাবলীল ও সহজ।
আপনার মতামত লিখুন :