শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম

বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, যাদের ফের ‘টিকা’ নিতে হবে

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

দেশে আবারও বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এমন পরিস্থিতিতে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে অতিরিক্ত ডোজ টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বুধবার (১১ জুন) রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. আবু জাফর জানান, ‘সরকারের হাতে বর্তমানে ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৯০০ ডোজ টিকা রয়েছে। আপাতত এই টিকাগুলো দিয়েই টিকাদান কার্যক্রম চালানো হবে।’

তিনি বলেন, ‘যেসব ব্যক্তি এখনো টিকা নেননি, বিশেষ করে গর্ভবতী নারী, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, এবং যাদের পেশাগত দায়িত্বে নিয়মিত ভিন্ন ভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে যেতে হয় তাদের অবশ্যই টিকা নেওয়া উচিত। আর যাদের আগে টিকা দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে যারা ষাটোর্ধ্ব, দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতায় ভুগছেন বা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের ছয় মাস পর আবার একটি অতিরিক্ত ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’

স্বাভাবিকভাবে যারা টিকা কেন্দ্রে যাবেন, তারা আগের মতোই টিকা নিতে পারবেন বলে জানান মহাপরিচালক। তিনি বলেন, ‘দেশে এখনো কভিড টিকাদান কর্মসূচি চালু রয়েছে এবং নির্ধারিত কেন্দ্রে গেলে টিকা দেওয়া হবে।’

এই টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক হালিমুর রশিদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসির গাইডলাইনে ২০২৪-২৫ সালের জন্য ওমিক্রন উপযোগী নতুন টিকা দেওয়ার সুপারিশ এসেছে।

তবে বাংলাদেশে থাকা আগের টিকাও সংক্রমণের তীব্রতা কমাতে কার্যকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী, নতুন টিকা না থাকলেও পুরনো টিকা প্রয়োগে উপকার মিলবে।

তিনি আরও জানান, নতুন টিকার জন্য এখনো কোনো যোগাযোগ শুরু হয়নি, তবে শিগগিরই সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সংক্রমণ পরিস্থিতিতে করোনা পরীক্ষা কতটা জরুরি এমন প্রশ্নে মহাপরিচালক বলেন, সাধারণ মানুষের পরীক্ষার প্রয়োজন নেই।

তবে যাদের উপসর্গ রয়েছে, তারা হাসপাতাল বা ক্লিনিকে এলে প্রয়োজনে পরীক্ষা করা হবে। এরই মধ্যে আরটিপিসিআর কিট সরবরাহের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ঈদের কারণে কিছুটা দেরি হলেও খুব দ্রুতই কিট পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, সংক্রমণ বাড়ার প্রেক্ষাপটে দেশের সব জেলা হাসপাতালকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। করোনার রোগীদের জন্য প্রয়োজন হলে হাসপাতালগুলোতে শয্যা প্রস্তুত রাখা হবে।

সব মিলিয়ে, করোনার নতুন ঢেউ মোকাবেলায় সরকার সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে অতিরিক্ত টিকা নেওয়ার পাশাপাশি হাসপাতাল প্রস্তুতি ও পরীক্ষার ব্যবস্থাও জোরদার করা হচ্ছে।

Link copied!