উইন্ডোজ কম্পিউটার দ্রুততর ও কার্যক্ষম রাখতে অনেক ব্যবহারকারী ‘ফাস্ট স্টার্টআপ’ চালু করা, ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ করা কিংবা অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে ফেলার মতো পদ্ধতি অবলম্বন করেন। তবে কখনো কি ভেবে দেখেছেন, মুছে ফেলা সেই ফাইলগুলোর পরিণতি কী হয়?
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট SlashGear এক প্রতিবেদনে জানায়, ফাইল মুছে ফেলার পর তা আসলে সঙ্গে সঙ্গে পুরোপুরি হারিয়ে যায় না। বরং সেই ফাইলটি যেখানে ছিল সেখানেই থেকে যায়, শুধু ব্যবহারকারীর কাছে দৃশ্যমান থাকে না।
নতুন কোনো ডেটা সেই জায়গায় সংরক্ষণ না হওয়া পর্যন্ত মুছে ফেলা ফাইলটি আসলে সেখানে লুকিয়ে থাকে।
ফাইল মুছে যায় না কেন?
ফাইল তৈরি হয় অনেক তথ্যের বিট দিয়ে। যখন এটি হার্ডড্রাইভে সংরক্ষিত হয়, তখন তা একটি নির্দিষ্ট জায়গা দখল করে। মুছে ফেলার পর মূলত ওই জায়গাকে ‘খালি’ হিসেবে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়, যেন নতুন ফাইল সেখানে লেখা যেতে পারে। কিন্তু যতক্ষণ না নতুন কিছু সেই জায়গায় সংরক্ষিত হয়, ততক্ষণ ফাইলটি পুনরুদ্ধারযোগ্য অবস্থায় থেকে যায়।
এ কারণে, অনেক সময় ‘ডিস্ক জিনিয়াস’ বা ‘ইজইউএস ডেটা রিকভারি উইজার্ড’-এর মতো ডেটা রিকভারি সফটওয়্যার ব্যবহার করে হারিয়ে যাওয়া ফাইল উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
রিসাইকেল বিন ও স্থায়ী ডিলিট
যদি আপনি শুধু Delete কী চেপে ফাইলটি মুছে থাকেন, তবে সেটি Recycle Bin-এ চলে যায়, যেখান থেকে সহজেই তা পুনরুদ্ধার করা যায়। তবে Shift + Delete দিলে ফাইলটি সরাসরি সিস্টেম থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়, যদিও এখনও তা হার্ডড্রাইভে বিদ্যমান থাকে এবং রিকভারি সফটওয়্যারের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
কীভাবে ফাইল চিরতরে মুছবেন?
যদি ব্যবহারকারী নিশ্চিত হতে চান যে কোনো তথ্য আর কখনও ফিরে পাওয়া যাবে না, তাহলে ব্যবহার করতে পারেন Systools Data Wipe-এর মতো ডেটা ওয়াইপিং সফটওয়্যার। তবে এ ধরনের টুল ব্যবহারে সতর্ক থাকা জরুরি, কারণ একবার মুছে ফেললে তা আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।
সংবেদনশীল ডেটার জন্য সতর্কতা জরুরি
তথ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সংবেদনশীল ফাইল মুছতে চাইলে উপযুক্ত ওয়াইপিং টুল ব্যবহার করা উচিত। তবে সাধারণ ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে এটি প্রতিদিনকার ফাইল ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় নয়।