কল্পনা করুন, একটি সাধারণ ছবি। সেটিকে আপনি ইউটিউবে দিলেন, আর মুহূর্তেই সেটি হয়ে গেল চলমান একটি ভিডিও। যেখানে ছবির চরিত্র নড়ছে, ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তিত হচ্ছে, এমনকি পরিবেশ অনুযায়ী গানও জুড়ে যাচ্ছে!
ইউটিউব শর্টস আনছে এমন এক চমকপ্রদ এআই ফিচার, যা একটি ছবিকে রূপ দেবে আকর্ষণীয় শর্ট ভিডিওতে।
যারা ভিডিও এডিটিং জানেন না বা সময় নেই, তাঁদের জন্য এটি হতে পারে ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরির নতুন যুগের দিগন্ত। কেননা ভিডিও তৈরি করতে আর সময় ধরে এডিটিং সফটওয়্যার ঘাঁটাঘাঁটি করার দরকার পড়বে না।
ব্যবহারকারীর মোবাইল গ্যালারি থেকে একটি ছবি বেছে নেওয়ার পর, ইউটিউবের এআই টুল সেই ছবির সঙ্গে মিলিয়ে কিছু ক্রিয়েটিভ সাজেশন দেখাবে। তারপর এক ক্লিকেই তৈরি হয়ে যাবে প্রাণবন্ত, গতিশীল ভিডিও—যেমন ধরুন, ট্রাফিক সিগনালে তোলা একটি ছবির মানুষটিকে দেখা যাবে নাচতে, ব্যাকগ্রাউন্ডে থাকবে স্বয়ংক্রিয় পরিবর্তন, জুম ও মুভমেন্ট।
এই ফিচার মূলত নতুন ক্রিয়েটরদের জন্য সহজ করে তৈরি করা হয়েছে। গুগলের জেমিনি বা মেটার অ্যানিমেট টুলের মতো হলেও ইউটিউব শর্টসের নতুন টুলটি ব্যবহার আরও সহজ ও সরাসরি।
এআই ফিচারটি শুধু ছবিকে ভিডিও বানাতেই সীমাবদ্ধ নয়। কেউ যদি ফোনে হালকা ডুডল আঁকে, ইউটিউব সেটিকেও রূপ দেবে একটি শিল্পকর্মে। একটি সেলফিকে দেখা যাবে পানিতে ভাসতে থাকা দৃশ্য বা কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার ভিজ্যুয়াল ভিডিওর মতো করে।
যেভাবে পাবেন এই ফিচার?
এই সুবিধা পাওয়া যাবে ইউটিউব শর্টস ক্যামেরার ‘ইফেক্ট’ অপশনের ‘এআই’ ট্যাবে। প্রথম ধাপে এই টুল চালু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে। তবে ইউটিউব জানিয়েছে, খুব শিগগিরই অন্যান্য দেশেও চালু হবে এই সেবা।
এ ছাড়া ইউটিউব চালু করেছে একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম- ‘এআই প্লে গ্রাউন্ড’। এখানে থাকবে নানা ধরনের ভিডিও তৈরির টুল, উদাহরণ ও নির্দেশিকা।
চমক এখানেই শেষ নয়। ইউটিউবের পরবর্তী জেনারেটিভ এআই ভিডিও মডেল Veo-3 দিয়ে শুধু ভিডিও নয়, অডিওও তৈরি করা যাবে। এটি ২০২৫ সালের মধ্যেই ইউটিউব শর্টসে যুক্ত হবে।
আপনার মতামত লিখুন :